কক্সবাজারে অসামাজিক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য পুর্ত ভবন সংলগ্ন কটেজ : প্রাণঘাতি এইডস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা!

<span class="mrs fsm fwn fcg"><span id="fbPhotoSnowliftTimestampAudienceContainer"></span><span id="fbPhotoSnowliftExpiration"></span><span id="fbPhotoSnowliftBlock"></span></span><br /> <span id="fbPhotoSnowliftViewOnApp"></span><span id="fbPhotoSnowliftUseApp"></span><div class="_xlr"> <span class="fbPhotosPhotoContext" id="fbPhotoSnowliftContext"></span><span aria-live="polite" class="fbPhotosPhotoCaption" data-ft="{"tn":"K"}" id="fbPhotoSnowliftCaption" tabindex="0"><span class="hasCaption"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-lh3akzEdRXFcv_ufQSzZtQw4t_hhuY3fd2E_qqJ9wi3k2y2hg8xOtvJuslglum2jfvLOK8QEOKNDq6SwKGJKevAjMzTtsUIao57LNqlvXEjgxJMCT3eTZIaeZi562GQjUoM_hLXkWdZZ/s1600/59330224_899153777091507_487435675214282752_o.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="540" data-original-width="960" height="360" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-lh3akzEdRXFcv_ufQSzZtQw4t_hhuY3fd2E_qqJ9wi3k2y2hg8xOtvJuslglum2jfvLOK8QEOKNDq6SwKGJKevAjMzTtsUIao57LNqlvXEjgxJMCT3eTZIaeZi562GQjUoM_hLXkWdZZ/s640/59330224_899153777091507_487435675214282752_o.png" width="640" /></a></div> <div class="text_exposed_root text_exposed" id="id_5e1b1564a9f801369391413"> <br /> কক্সবাজার পুর্ত ভবন সংলগ্ন কটেজ অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অসাধু কটেজ মালিকরা প্রকাশ্য পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে এলেও জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।<br /> <br /> আর কক্সবাজারে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে <span class="text_exposed_show">কলাতলীর কিছু আবাসিক হোটেল ও কটেজ অপরাধীদের খুনের অভয়ারণ্য হয়ে উঠে। এসব কটেজ থেকে প্রায় কোন না কোন পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে বেশির খুনের ক্লো উদঘাটনে ব্যর্থ হন প্রশাসন।<br /> <br /> প্রকাশ্য ও গোপন অনুসন্ধানে জানা যায়, কলাতলী রোড়ের সাংস্কৃতির কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত প্রায় সব রিসোর্টেই দিনের বেলায় প্রকাশ্যে নারী নিয়ে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর রাতের বেলায় এ রিসোর্ট যেন এক একটি মিনি পতিতালয়। রাতদিন দু’ সিফটে ভাগ করে এসব রিসোর্টে চলে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা। রেজিষ্টারবিহীন ঘন্টা ব্যাপী ও নাইট ভিত্তিক দেহ ব্যবসা ।</span></div> <div class="text_exposed_root text_exposed" id="id_5e1b1564a9f801369391413"> <span class="text_exposed_show"><br /> আর রোহিঙ্গা ইস্যূতে কক্সবাজারের কলাতলীতে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী এনজিওদের আগমনে এ ব্যবসা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন্ স্থানে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়তও চোখে পড়ার মতো। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের সামাজিক পরিবেশ।<br /> <br /> জানা গেছে: কটেজের মালিক, ম্যানেজার ও বয় ছেলেদের মদদেই চলছে এ ব্যবসা।কক্সবাজারের পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা এসব হোটেলে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে খদ্দরসহ পতিতা ও দালালদের আটক করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজারদের আটক না করায় বন্ধ হচ্ছে না এ পতিতা ব্যবসা।<br /> <br /> <br /> আরও জানা যায় যে: এসব রিসোর্টের কর্মরত ম্যানেজার ও হোটেল বয় স্থানীয়সহ ঢাকার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে মহিলা ও উঠতি বয়সের তরুণী, রাখাইন নারী সংগ্রহ করে প্রতিদিন তাদেরকে দিয়ে ঘণ্টা ও নাইট হিসেবে এই রিসোর্টে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা অবৈধ টাকার পাহাড় করেছে। ফলে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে তরুণ ও যুব সমাজ।<br /> <br /> পর্যটন এলাকার নিয়ম রক্ষার্থে এসব কটেজ গুলোতে প্রায় চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান। তবুও অজ্ঞাত কারনে থামে না কটেজের এই পতিতা ব্যবসা।স্থানীয় দাবি,এসব অপর্কমের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে নষ্ট হয়ে যাবে কক্সবাজারের সামাজিক পরিবেশ। আর সামনে আসছে পবিত্র রমজান মাস এভাবে থাকলে রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট হবে।<br /> <br /> নাম প্রকাশ না করার শর্তে কটেজ ও রিসোর্টের সামনের একাধিক দোকানদার জানান, পতিতাদের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী,বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় কর্মরত মহিলা,স্বামী প্রবাসী গৃহবধুসহ বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের উঠতি বয়সের তরুণীরা।<br /> <br /> একশ্রেনীর দিনমজুর থেকে আরম্ভ করে মধ্য বয়সের কর্মবিমুখ মানুষের পদভারে মুখরিত থাকে এই কটেজ গুলো। শুধু তা নই অনেকক্ষেত্রে কলেজের নাম করে বান্ধবিকে নিয়ে উঠে কোন না কোন কটেজে। যার ফলে শহরজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবনতা।<br /> <br /> কলাতলীর কটেজ জোনে যৌনকর্মীদের সাথে স্থানীয় যুবক,ছাত্র,ব্যবসায়ী এমনকি কক্সবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর পুরুষদের যৌন সম্পর্কের কারণে এইডস রোগের জীবাণু ছড়ালে তা রীতিমতো বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আশংকা অনেকের। সর্বোপরি কক্সবাজার এইডস জোনে পরিণত হলে ধ্বংস হয়ে যাবে এখানকার পর্যটনখাত।</span></div> </span></span></div>

কক্সবাজারে অসামাজিক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য পুর্ত ভবন সংলগ্ন কটেজ : প্রাণঘাতি এইডস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা!

কক্সবাজার পুর্ত ভবন সংলগ্ন কটেজ অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অসাধু কটেজ মালিকরা প্রকা...

Read More

কক্সবাজার শহরের প্রধান গণপরিবহন টমটম ভাড়া নির্ধারণ করা খুবই জরুরী

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh3TNDa2VAFxXFVGurUPPh3cfJYpbH4IAnk-Me7bqGzKR3pH6h1-bgD4ykbJYn7PkQJoCV-OywzwgFhyhEjaliGnXtPw0RlsQW3I4XfravxbT4Al2qLZlj0u36OmVSM8M4Wz9JFo9qTG1OS/s1600/61733786_922026494804235_4033849596688990208_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="514" data-original-width="914" height="356" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh3TNDa2VAFxXFVGurUPPh3cfJYpbH4IAnk-Me7bqGzKR3pH6h1-bgD4ykbJYn7PkQJoCV-OywzwgFhyhEjaliGnXtPw0RlsQW3I4XfravxbT4Al2qLZlj0u36OmVSM8M4Wz9JFo9qTG1OS/s640/61733786_922026494804235_4033849596688990208_n.jpg" width="640" /></a></div> <span aria-live="polite" class="fbPhotosPhotoCaption" data-ft="{"tn":"K"}" id="fbPhotoSnowliftCaption" tabindex="0"><span class="hasCaption"><br /> <br /> কক্সবাজারে গণ পরিবহণের ভাড়া নির্ধারণের যেন কেউ নেই। যে যার ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে। এতে নিষ্পেষিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রিক্সা, টমটমসহ শহরতলীর গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে দিন দিন বেড়েই চলছে টমটম চালকদের নৈরাজ্য। যেখানে পার্কিং, ওভার টেকিং, যাত্রীদের সাথে অসদাচরণ, তুচ্ছ অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া সহ ননা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। <span class="text_exposed_show">কথা বলার কোন চান্জ নেই যা মন চায় তা বলছে চালকরা। সামান্যতম জায়গায় টমটম চালকরা ১৫/২০ টাকা ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের একরকম শোষণ করছে বলে মত প্রকাশ করেন অনেকে। এছাড়া অবৈধ টমটমের অভিযোগ-তো আছেই।<br /> অথছ এ বিষয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কিছুদিন আগেও কক্সবাজারে গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে একটি সন্তুষজনক অবস্থা ছিল। কিন্তু এখন কেউ যেন কারো কথা শুনে না। আগে শহরের অলি গলিতে রিক্সা ভাড়া টাঙ্গানো ছিল, সে অনুযায়ী মানুষ ভাড়া দিত। হয়তো সামান্য কিছু পার্থক্য হতো। কিন্তু এখন সেটা নেই। তাই রিক্সা ও টমটম চালকরা ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে প্রায়শই চালকদের সাথে যাত্রীদের কথা কাটাকাটিসহ হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। শুধু অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নয়, তুচ্ছ যে কোন বিষয় নিয়েই টমটম চালকরা যাত্রীদের উপর চড়াও হয়। জানা যায়, টমটম চালকরা দাবী করেন তাদের গাড়ীতে ৫ টাকার কোন ভাড়া নেই উটানামা ১০ টাকার ভাড়া আছে। চালকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত করেন পরে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। <br /> চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছেন ১০ টাকা আবার কারো থেকে ২০ টাকা আবার রাত ১০টা বাজার সাথে সাথে নতুন আর এক নিয়ম চালকদের ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা আবার ১০ টাকার ভাড়া যেখানে সেখানে ৩০ টাকা। চালকদের এই কথা জিঙ্গেস করলে তারা বলে পৌরসভার হুকুম। পর্যটকদের কাছে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়, স্থানীয়দের রিজার্ভ ভাড়ার চাইতে বেশি ভাড়া দাবি-এসব সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও সমাধানে কার্যত কাউকে এগিয়ে আসতে আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। কক্সবাজার শহরের টমটমগুলো রাস্তায় চলছে পৌরসভার অনুমতি কাগজ নিয়ে। সেই হিসেবে এই সমস্যা সমাধানের কথা পৌরসভার কর্মকর্তাদেরই। তাদের এ বিষয়ে কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি কখনো।<br /> <br /> এখন দেখি স্থানীয় বা পর্যটক কেউ যদি দুরপাল্লার বাস থেকে সকালে নামে তাদের টানা হেচড়া করা হয়, কারো ব্যাগ নিয়ে যায় এক গাড়ীতে, আর ছেলে মেয়ে নিয়ে যায় আরেক গাড়ীতে। টমটম ও সিএনজি চালকরা পর্যটকদের তাদের পছন্দের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর জন্য হোটেল থেকে কমিশন আদায় করে। যাত্রী ঢাকা থেকে আগে হোটেল ভাড়া করলেও টমটম চালক তাকে নানাভাবে টমটমে ওঠার পর ফুঁসলিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যায়। অনেক টমটম চালক সুযোগ বুঝে পর্যটককে বিপাকে ফেলারও চেষ্টা করে। কক্সবাজার জেলা শহরজুড়ে হোটেল দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।<br /> টমটমওয়ালাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ আরো গুরুতর। একে তো রিজার্ভ ভাড়া ছাড়া টমটম পাওয়া যায় না। রিজার্ভ যেতে চাইলও স্থানীয়দের কাছে ভাড়া কম পাওয়া যাবে সেজন্য টমটমওয়ালারা তাদেরকে নিতে চায় না-এমন অভিযোগ হাজারো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পর্যটকদের আনাগুনা বুঝে এমনটি করে থাকেন শহরের টমটম চালকরা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও যেতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পায়ে হেটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অনেকেই ।<br /> বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিদ্যুত চালিত অটো রিক্সা পাল ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে বিতারিত হয়ে ধেয়ে এসেছে কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলার আনাছে কানাছে। কেননা চট্টগ্রাম শহরের বিদ্যুতের অপচয় ও যানযট ‍নিরসনে এইসব যানবাহন নিষিদ্ধ করেছিল প্রশাসন। এরপর থেকে চট্টগ্রাম শহরের অটো রিক্সাগুলো ঝাকে ঝাকে ধেয়ে এসেছিল গ্রাম থেকে গ্রামে। এই বিদ্যুত চালিত টমটম ও রিক্সার কারণে ভয়াবহ বিদ্যুতের লোডশেটিং হচ্ছে কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলায়। ফলে দুর্ভাগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ গ্রাহকের। বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষর্থীদের লেখাপড়া।</span></span></span>

কক্সবাজার শহরের প্রধান গণপরিবহন টমটম ভাড়া নির্ধারণ করা খুবই জরুরী

কক্সবাজারে গণ পরিবহণের ভাড়া নির্ধারণের যেন কেউ নেই। যে যার ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে। এতে নিষ্পেষিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রিক্সা,...

Read More

গল্প নয় সত্যি ডিজিটাল বাংলাদেশ :স্বপ্ন এখন বাস্তব

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1iOFEqCMA45eMAjAE8yDCxbf8EIWdGITzz_PEyKRBbxpx51yYR2qKoUgVdvDKzAjmzriWpCD-e0Ak6kym1gjIDXCM-4A89UNw9Xr3Y-JRUvmnzL0i0ZcAOyVZj1ZAWZRrxth1mo77KHv8/s1600/Satellite-640.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="384" data-original-width="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1iOFEqCMA45eMAjAE8yDCxbf8EIWdGITzz_PEyKRBbxpx51yYR2qKoUgVdvDKzAjmzriWpCD-e0Ak6kym1gjIDXCM-4A89UNw9Xr3Y-JRUvmnzL0i0ZcAOyVZj1ZAWZRrxth1mo77KHv8/s1600/Satellite-640.jpg" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: 14px;">কিছুদিন আগে আমার সদ্য এসএসসি পাস করা মেয়ে আমাকে হঠাৎ বলল একটি টেলিটকের সিমকার্ড কিনে আনতে। সে বলল, এখন টেলিটকের সিমের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো শিক্ষার্থী যেকোনো কলেজে ভর্তির আবেদন ঘরে বসেই করতে পারছে। তখন আমার মনে পড়ল, আমাদের সময় কলেজে ভর্তির আবেদন করার জন্য কত ঝামেলাই না পোহাতে হতো। আমরা প্রত্যেকটি কলেজে যেয়ে যেয়ে আবেদন জমা দিয়েছি, আলাদা আলাদা ফরম কিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দিয়েছি। খরচ আর ভোগান্তির তো কোনো শেষই ছিল না। অথচ আজকাল এসব কত সহজ হয়ে গিয়েছে, সেবা পৌঁছে গিয়েছে জনগণের দোরগোড়ায়।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: 14px;">নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন বদলের সনদ হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রথমদিকে কেউ কেউ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টিকে ঠিকমতো বিশ্বাস করেনি, বরং কারো কারো মনে এটি নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিষয়টিকে আস্থার সঙ্গে নিয়ে এ ঘোষণার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টি উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং তৃণমূল থেকে উঠে আসা একটি বিষয়। এরফলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ যে একটি মিথ নয়, তা-ই এরমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।</span></div> <div style="border: 0px none; color: black; font-family: kalpurushregular; font-size: 16px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; vertical-align: baseline;"> </div> <div style="border: 0px none; color: black; font-family: kalpurushregular; font-size: 16px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; vertical-align: baseline;"> <span style="font-size: 14px;">প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সরকারি সেবা নিয়ে যেতে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর দেশের ৪,৫৪৭ ইউনিয়নে চালু হয় ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র’, যা বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নামে পরিচিত। নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টারে একজন পুরুষের সঙ্গে একজন নারী উদ্যোক্তা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। এসব সেবাকেন্দ্রে কম্পিউটার কম্পোজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, ভর্তি ফরম পূরণ, জন্ম নিবন্ধন, বিমা, মোবাইল ব্যাংকিং, কৃষিকাজের জন্য মাটি পরীক্ষা ও সারের সুপারিশ, বিদ্যুত্ বিল পরিশোধ, ডাক্তারি পরামর্শসহ দৈনন্দিন ৬০ ধরনের সেবা পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি নির্বাচিত কিছু ডিজিটাল সেন্টার থেকে পাসপোর্ট ও ভিসার আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩০০৮টি সেন্টারে চালু হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। বিদেশে গমনেচ্ছুক ২০ লাখ ২২ হাজার ৪৩৬ জন শ্রমিক অনলাইনে ডিজিটাল সেন্টারে নিবন্ধন করেছেন। এরমধ্যে বড় একটি সংখ্যায় নারীও রয়েছেন। ফলে দেখা যাচ্ছে, ডিজিটাল সেন্টার তৃণমূল সেবার হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের পর দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনে ৪০৭টি ডিজিটাল সেন্টার ও ৩২১টি পৌরসভাতে ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। আইসিটি ডিভিশন এবং এটুআইয়ের মতে, প্রতি মাসে গড়ে ৪০ লাখ মানুষ এসব কেন্দ্র থেকে সেবা নিচ্ছে। এটুআইয়ের হিসেবে ডিজিটাল সেন্টার থেকে উদ্যোক্তারা এরমধ্যে আয় করেছেন ১৪০ কোটি টাকা।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="border: 0px none; color: black; font-family: kalpurushregular; font-size: 16px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; vertical-align: baseline;"> <span style="font-size: 14px;">বিশ্বের সবচেয়ে বড় সরকারি ওয়েবসাইট ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’-এ ৪৩ হাজার দপ্তর এখন সংযুক্ত। এতে যুক্ত হয়েছে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নের ২৫ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট। এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অফিসের নানা কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর দেশের সকল জেলায় জেলা ই-সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। জেলা ই-সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে এরমধ্যে ৮ লক্ষাধিক সেবাপ্রদান করা হয়েছে। দালালদের উত্পাত ছাড়াই ই-সেবাকেন্দ্র থেকে তিন দিনের মধ্যে জমির পর্চাসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যাচ্ছে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: 14px;">অনলাইনে দরপত্র জমা দিতে ঠিকাদারদের জন্য চালু করা হয়েছে ই-প্রকিউরমেন্ট। এখন অনেক মন্ত্রণালয় অনলাইনে দরপত্র আহ্বান করছে। এতে টেন্ডার বাণিজ্য রোধে এ ধরনের উদ্যোগ ভূমিকা রাখছে। আদালতের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করতে চালু হয়েছে মোবাইল কোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। স্বল্প পরিসরে চালু হওয়া এ উদ্যোগের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতের যাবতীয় ডক্যুমেন্ট অনলাইনে সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের জন্য রাখা হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে সকল রেকর্ড এসএ, সিএস, বিআরএস ও খতিয়ান কপি ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি খতিয়ান ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। খুব শীঘ্র চালু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল রেকর্ড রুম। এরমধ্যে ২৩ লাখ ২০ রেকর্ড ডিজিটাল সিস্টেমে প্রদান করা হয়েছে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="border: 0px none; color: black; font-family: kalpurushregular; font-size: 16px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; vertical-align: baseline;"> <span style="font-size: 14px;">সরকারি অফিসে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে এবং কর্মযজ্ঞ সম্পাদন প্রক্রিয়া গতিময় করতে জনবান্ধব ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু হয়েছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ১৬টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদফতর এবং ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। সরকারি নানা কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করার ফলে তৈরি হওয়া ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণে আইসিটি ডিভিশনে টায়ার-থ্রি ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অন্যতম লক্ষ্যমাত্রা হলো পেপারলেস অফিস যা নিশ্চিত করতে পারে এই ই-ফাইলিং সিস্টেম।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: 14px;">উদ্ভাবনকে উত্সাহিত করার জন্য এবং উদ্ভাবনী ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এটুআইয়ের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ নাগরিক সেবা গ্রহণে মাত্রাতিরিক্ত ধাপ কমিয়ে বা প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সময়, অর্থ ও যাতায়াতের পরিমাণ হ্রাস করা যায় এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহ বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় একটি সহজ উপায়ে অনলাইনে জমা দিতে পারেন। একটি নিরপেক্ষ বাছাই পদ্ধতির মাধ্যমে বাছাইকৃত আইডিয়াসমূহে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হয়। সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সর্টিফিকেট, অনলাইন পরিবেশ ছাড়পত্র, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বয়স যাচাই, বাক প্রতিবন্ধীদের জন্য টকিং ডিভাইসসহ ১৭০টি উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের জন্য এটুআই কাজ করছে। ‘তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা নয়, বরং শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শিক্ষক কর্তৃক মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি, শিক্ষক বাতায়ন, ই-বুক, মনিটরিং ড্যাশবোর্ড ও ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক নামক মডেলগুলো উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ মডেলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উপযোগী কন্টেন্ট তৈরি করে ক্লাসে ব্যবহার করছেন। যেখানে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। ২৩,৩৩১টি মাধ্যমিক ও ১৫,০০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ১,৮০,০০০-এর বেশি শিক্ষক এবং ১,৬৫০ মাস্টার-ট্রেইনার মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর গণভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রাথমিক স্তরের সকল ডিজিটাল বই এবং দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে ব্রেইল বুক ও মালটিমিডিয়া টকিং বুক তুলে দেন। কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে ডিজিটাইজ করার মাধ্যমে কার্যকর ও সহজ উপায়ে কৃষকের কাছে সম্প্রসারণ সেবাকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এটুআই তৈরি করেছে ‘কৃষি পোর্টাল’। কৃষি পোর্টালটি পাইলটিং হয়েছে এবং খুব শীঘ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।  ডিজিটাল বাংলাদেশের দার্শনিক ভিত্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা—যাঁর চোখে জাতি দেখেছিল স্বনির্ভরতার দৃঢ় অঙ্গীকার। তিনি জাতিকে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। ঠিক তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে উপহার দিয়েছেন তাঁর নির্বাচনী ইস্তেহার ‘দিন বদলের সনদ’। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ২০২১ সালে বাংলাদেশ কোথায় যাবে তার একটি রূপকল্প ও তিনি দিয়েছেন নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘রূপকল্প ২০২১’ নামে। রূপকল্প ২০২১-এর একটি অন্যতম লক্ষ্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, ২০০৮ সালে যেটি ছিল শুধুই স্বপ্ন, আর আজ সেটা বাস্তবতা।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: 14px;">মো. মোস্তাফিজুর রহমান</span></div> <div style="border: 0px none; color: black; font-family: kalpurushregular; font-size: 16px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify; vertical-align: baseline;"> <span style="font-size: 14px;"> লেখক : যুগ্ম সচিব, পরিচালক, এটুআই প্রোগ্রাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়</span></div>

গল্প নয় সত্যি ডিজিটাল বাংলাদেশ :স্বপ্ন এখন বাস্তব

কিছুদিন আগে আমার সদ্য এসএসসি পাস করা মেয়ে আমাকে হঠাৎ বলল একটি টেলিটকের সিমকার্ড কিনে আনতে। সে বলল, এখন টেলিটকের সিমের মাধ্যমে দেশের য...

Read More

বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র

<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <b><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjysl6BjynG5Kcjwj1uFFYrTGbRKqZEGCcgSTdTPJpi9DIDRQMEocXO6tticT5dI1r_iwZE4sqfFjy3FbilRteGyqYTV5KhqLgNXwIrx35OnlzA4TvLo55r9QKaxXkqBFnBZu8eX9Ww2abV/s1600/%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2595-%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2580%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BE-..jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="405" data-original-width="780" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjysl6BjynG5Kcjwj1uFFYrTGbRKqZEGCcgSTdTPJpi9DIDRQMEocXO6tticT5dI1r_iwZE4sqfFjy3FbilRteGyqYTV5KhqLgNXwIrx35OnlzA4TvLo55r9QKaxXkqBFnBZu8eX9Ww2abV/s1600/%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2595-%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2580%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BE-..jpg" /></a></b></div> <br /> <b>সৌন্দর্যময় এ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। নিচে ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে তুলেধরা হলঃ</b><br /> <h3 id="কক্সবাজার"> কক্সবাজার</h3> সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র ভিতরে প্রথম স্থানে রয়েছে <b>কক্সবাজার</b>। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। অপরূপ সুন্দর বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত এই কক্সবাজার। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসে।<br /> কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এর অবস্থান। কক্সবাজার ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত।<br /> কক্সবাজারের পাশাপাশি এখানে ভ্রমণের জন্য আরও রয়েছেঃ লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানী বিচ।<br /> <h4> কিভাবে যাবেন</h4> ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪১৪ কি.মি. । ঢাকা থেকে কক্সবাজার ৩ উপায়ে যাওয়া যায়ঃ সড়কপথ, রেলপথ, আকাশপথ। <br /> <b>বাসঃ</b> ঢাকা থেকে বেশ অনেক গুলো বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। উল্লেখযোগ্য বাস গুলো হলঃ গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সৌদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, এস.আলম পরিবহন, সোহাগ পরিবহন।<br /> <b>ট্রেনঃ</b> সোনার বাংলা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী ইত্যাদি ট্রেন যাওয়াআসা করে থাকে।<br /> <b>আকাশপথঃ</b> বিমান বাংলাদেশ, নভোএয়ার, ইউএস বাংলা সহ আরও বেশকিছু বিমান ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।<br /> <h4> ভাড়া</h4> <b>বাসঃ</b> টিকিট মূল্য নন এসি- ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা। এসি- ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি সিটের ভাড়া হয়ে থাকে।<br /> <b>ট্রেনঃ</b> ট্রেনের টিকিট মূল্য ৪০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।<br /> <b>আকাশপথঃ</b> ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত।<br /> <h3 id="সুন্দরবন"> সুন্দরবন</h3> সেরা ৫০টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র ভিতরে প্রথম স্থানে রয়েছে <b>সুন্দরবন</b>।বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে সুন্দরবন অবস্থিত। সুন্দরবন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা জুড়ে বিস্তৃত।<br /> সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অখণ্ড বনভূমি! সুন্দরবন এর আয়তন প্রায় ১,৩৯,৫০০ হেক্টর (৩,৪৫,০০০ একর)। সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে আসেন।<br /> সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ ছাড়াও রয়েছে গরান, বাইন গেওয়া ইত্যাদি। আর প্রাণীর ভিতর রয়েছে বাঘ, সিংহ, হরিণ, হাতি, কুমির ইত্যাদি।<br /> সুন্দরবন এ দেখার মত আরও রয়েছেঃ জামতলা সৈকত, মান্দার বাড়িয়া সৈকত, হিরন পয়েন্ট, দুবলার চর।<br /> <h4 id="mce_119"> কিভাবে যাবেন</h4> ঢাকা থেকে সুন্দবন যেতে হলে প্রথমে আপনাকে খুলনা যেতে হবে। খুলনায় যাওয়ার জন্য বাস, ট্রেন এবং লঞ্চ ব্যবস্থা রয়েছে। এই তিন উপায়ে আপনি যেতে পারেন।<br /> <b>বাসঃ</b> হানিফ, সোহাগ ও ঈগল পরিবহনের বাস ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নিয়মিত খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে থাকে। খুলনা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মংলায় গিয়ে সেখান থেকে ছোট লঞ্চ বা ট্রলারে করে সুন্দরবন যেতে হবে।<br /> <b>ট্রেনঃ</b> সুবর্ণ এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ, সাগরদাঁড়ি, চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস।<br /> <h4 id="mce_125"> ভাড়া</h4> <b>বাসঃ</b> ঢাকা থেকে খুলনা বাস ভাড়া নন এসি ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এসি – ৫৫০ থেকে ১৩০০ টাকা।<br /> <b>ট্রেনঃ</b> ট্রেনের ভাড়া ২৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।<br /> <h3 id="রাঙ্গামাটি-ঝুলন্ত-ব্রিজ"> রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ</h3> ঢাকা থেকে ৩০৮ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গামাটি জেলা অবস্থিত। রাঙ্গামাটি জেলায় ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ হল রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ! ঝুলন্ত ব্রিজ টি কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত। এটি প্রায় ৩৩৫ ফুট লম্বা। <br /> রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ এর একটি বিশেষ নাম রয়েছে সেটি হলঃ সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ টি বানানোর কারন হচ্ছেঃ এই ব্রিজটি কাপ্তাই লেকের বিচ্ছিন্ন দুই পাড়ের পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দিয়েছে। এই ব্রিজ দিয়ে একপাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে অনায়াসেই যাতায়েত করা যায়।<br /> রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে এসে আপনি আরও যা দেখতে পাবেন তা হলঃ শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক, শুভলং ঝর্ণা, কাপ্তাই লেক, উপজাতীয় জাদুঘর, ঝুম রেস্তোরা, টুকটুক ইকো ভিলেজ, চিৎমরম গ্রাম ও টাওয়ার, যমচুক…<br /> রাইক্ষ্যং পুকুর, নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্র, ফুরমোন পাহাড়, রাজস্থলী ঝুলন্ত সেতু, রাজবন বিহার, ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজবাড়ি, পেদা টিং টিং, নৌ-বাহিনীর পিকনিক স্পট, ন-কাবা ছড়া ঝর্না, আর্যপুর ধর্মোজ্জ্বল বনবিহার, ডলুছড়ি জেতবন বিহার, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ও কাট্টলী বিল ইত্যাদি।<br /> <h4> কিভাবে যাবেন</h4> ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে আপনি বাসে, ট্রেনে ও আকাশপথে যেতে পারেন। বাস আপনি সরাসরি রাঙ্গামাটি যেতে পারবেন কিন্তু ট্রেনে এবং আকাশপথে আপনাকে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং সেখান থেকে রাঙ্গামাটি যেতে হবে।<br /> <b>বাসঃ</b> ঢাকা সায়দাবাদ থেকে রাঙ্গামাটিগামী শ্যামলী, এস আলম পরিবহন, হানিফ পরিবহন, বিআরটিসি পরিবহনের বাস গিয়ে থাকে।<br /> <br /> <h3 id="জাফলং"> জাফলং</h3> জাফলং ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটা পর্যটকদের জন্য বিখ্যাত জায়গা। বাংলাদেশের সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় এই জাফলং অবস্থিত। ঢাকা থেকে জাফলং এর দূরত্ব প্রায় ২৯৭ কিলোমিটার আর সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার।<br /> জাফলং এ রয়েছে ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতু। সাথে পাহাড়ি ঝর্না, পাথর ও ঝর্ণার সচ্চ পানি।<br /> জাফলং এ দেখার মত আরও রয়েছেঃ লালাখাল, তামাবিল, জৈন্তাপুর, সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা।<br /> <h4 id="mce_168"> কিভাবে যাবেন</h4> ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেনে এবং আকাশপথে জাফলং যেতে পারেন। তবে, যেভাবেই যান না কেনও আপনাকে প্রথমে সিলেট যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে জাফলং।<br /> <b>বাসঃ</b> গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলী, এনা, হানিফ ও ইউনিক পরিবহন ঢাকার ফকিরাপুল, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালি ও আবদুল্লাপুর বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়।<br /> <b>ট্রেনঃ</b> উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস সিলেটের উদ্দেশ্যে কমলাপুর বা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে ছেড়ে যায়।<br /> <b>আকাশপথেঃ</b> বিমান বাংলাদেশ, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারের বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।<br /> <h3 id="সাজেক-ভ্যালি"> সাজেক ভ্যালি</h3> বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ভ্যালি অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হিসেবে খ্যাত এই সাজেক। রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত এই সাজেক ভ্যালি।<br /> সাজেক ভ্যালি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সাজেক ভ্যালি দূরত্ব প্রায় ৩৫১ কিলোমিটার।<br /> সাজেকে একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার হচ্ছেঃ এখানে ২৪ ঘণ্টায় প্রকৃতির তিনটা রূপই দেখা পাবেন আপনি। কখনো খুবই গরম, পরেই হটাৎ বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়তো চারদিকে ঢেকে যায় মেঘের চাদরে! মনে হয় যেন একটা মেঘের উপত্যকা।<br /> সাজেক ভ্যালিতে দেখার মত আরও রয়েছেঃ রুইলুই পাড়া, কমলক ঝর্ণা, কংলাক পাড়া, হাজাছড়া ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার।<br /> <h3 id="সেন্টমার্টিন"> সেন্টমার্টিন</h3> বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলা একটি ইউনিয়ন এই সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিন নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ইউনিয়ন।<br /> সেন্টমার্টিন এর আয়তন ১৯৭৭ একর (৮ বর্গ কিলোমিটার)। ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন এর দূরত্ব ৪০৫ কিলোমিটার আর কক্সবাজার শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার।<br /> এখানে প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক আসেন। সারি সারি নারিকেল গাছ এ দ্বীপকে করেছে অনন্য, যা ভ্রমণ পিয়াসী মানুষকে দুর্নিবার আকর্ষনে কাছে টেনে নেয়।<br /> <h3 id="শ্রীমঙ্গল"> শ্রীমঙ্গল</h3> শ্রীমঙ্গল কে চা এর রাজধানী বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে শ্রীমঙ্গল অবস্থিত। এর আয়তন ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার। শ্রীমঙ্গলে মোট চা বাগানের সংখ্যা ৪০টি।<br /> ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ১৭৬ কিলোমিটার। সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ৮৩ কিলোমিটার।<br /> শ্রীমঙ্গলে দর্শনীয় স্থান গুলো হলঃ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট, ৪০ টি চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নির্মাই শিববাড়ী।<br /> বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি, হাইল হাওরে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম, সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, কাছারী বাড়ী (সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় সংলগ্ন)…<br /> মসজিদুল আউলিয়া, রমেশ রাম গৌড় এর ৭ কালারের চা, শ্যামলী পর্যটন, মাধবপুর লেক, রাবার বাগান, আনারস বাগান, লেবু বাগান, ভাড়াউড়া লেক, রাজঘাট লেক, মাগুরছড়া গ্যাসকূপ, পান পুঞ্জি, ওফিং হিল, বার্নিস টিলার আকাশ ছোয়া সবুজ মেলা, শ্রীমঙ্গলের এক মাত্র ঝর্ণা ‘‘যজ্ঞ কুন্ডের ধারা’’, শতবর্ষের স্মৃতি বিজড়িত শ্রীমঙ্গলে ডিনস্টন সিমেট্রি, মসজিদুল আউলিয়া, টি রিসোর্ট, আরোগ্য কুঞ্জ, হরিণছড়া গলফ কোর্ট, ডলু বাড়ি টিপরা পল্লী, উচু-নিচু পাহাড়।<br /> <h3 id="বাংলাদেশ-জাতীয়-চিড়িয়াখানা"> বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা</h3> বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা স্থাপিত হয়েছে ২৩শে জুন, ১৯৭৪ । পুরো চিড়িয়াখানা ১৮৬ একর জুড়ে বিস্তৃত। <br /> এখানে প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ২১৫০টি। প্রজাতির সংখ্যা ১৯১টি। প্রতিবছর চিড়িয়াখানায় ৩,০০০,০০০ জন দর্শনার্থী আসেন।<br /> <h4> বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা নির্দেশনাবলী</h4> <ol> <li>চিড়িয়াখানার ঘুরার জন্য চিড়িয়াখানা ঢুকে প্রথমে সোজা যাবেন। একটু সামনে গেলেই দেখতে পাবেন পুরো চিড়িয়াখানার একটি বড় ম্যাপ রয়েছে। সাথে দেখতে পাবেন সামনেই একটি বানরের খাঁচা। বানরের সাথে দেখা করার পর আপনি হাতের বা দিকে যাবেন। </li> <li>হাতের বা দিক দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আপনি আস্তে আস্তে ডান দিকে যাবেন। এভাবে করেই আপনার পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরা শেষ করবেন। চিড়িয়াখানাও এই নিয়ম টা ই দিয়েছে। যাতে আপনি পুরো চিড়িয়াখানার সব গুলো প্রানির দেখা পান।</li> <li>চিড়িয়াখানার প্রাণীদের খাবার দেয়া থেকে বিরত থাকুন।</li> <li>হিংস্র প্রানি যেমনঃ বাঘ, সিংহ, সাপ এসব প্রাণীদের খাঁচা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন।</li> <li>আপনার সাথে যদি ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে, তাদেরকে সব সময় কাছে রাখুন। প্রয়োজনে হাত ধরে রাখুন। কারন, চিড়িয়াখনা অনেক বড় এবং সবসময় এখানে প্রচুর মানুষের সমাগম থাকে। একবার যদি আপনার বাচ্চা কে হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তাকে খুজে পেতে অনেক সময় লাগবে। এর ফলে আপনার আনন্দ ভ্রমন নিরানন্দ হয়ে যাবে।</li> <li>আর যদি, এরকম সমস্যায় পড়েই যান। তাহলে ঘাবড়ানর কিছু নেই। কারন, চিড়িয়াখানার ভিতরে একদল সদস্য রয়েছে, যারা আপনার সহযোগিতা করার জন্য রেডি হয়ে থাকে সবসময়। আপনি ভিতরে চুকলেই তাদের মাইকের শব্দ পাবেন।</li> <li>চিড়িয়াখানা ঢুকার পূর্বে সাথে পানি এবং শুঁকন খাবার নিয়ে নিন। কারন, এতো বড় চিড়িয়াখানা ঘুরতে ঘুরতে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাছাড়া, উচু নিচু যায়গা দিয়েই আপনাকে ভ্রমন করতে হবে।</li> <li>যতটা সম্ভব খোলামেলা জামাকাপড় পড়ে চিড়িয়াখানা যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ক্লান্তি কম লাগবে।</li> <li>ভ্রমন উপযোগী জুতা পরার চেষ্টা করুন।</li> <li>সবসময় আপনার মানিব্যাগ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আপনার হেফাজতে রাখুন।</li> <li><br /></li> </ol> <h3 id="কুয়াকাটা-সমুদ্র-সৈকত"> কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত</h3> পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত। কুয়াকাটা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত।<br /> কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর বিশেষত্ব হচ্ছেঃ আপনি একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সড়কপথে দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার। আর বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার।<br /> কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে আরও যে দর্শনীয় স্থান রয়েছেঃ শুঁটকি পল্লী, ক্রাব আইল্যান্ড, গঙ্গামতির জঙ্গল, ফাতরার বন, কুয়াকাটা কুয়া, সীমা বৌদ্ধ মন্দি, কেরানিপাড়া।<br /> <h3 id="বাংলাদেশ-জাতীয়-জাদুঘর"> বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর</h3> ২০ মার্চ, ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এবং ৭ আগস্ট, ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের শাহবাগে অবস্থিত।<br /> জাতীয় জাদুঘরে ৪৪ টি প্রদর্শনী কক্ষ বা গ্যালারি রয়েছে এবং এই সাথে আরও রয়েছে একটি সংরক্ষণাগার, মিলনায়তন, গ্রন্থাগার, আরকাইভ, সিনেস্কেইপ এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনালয়।<br /> বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর টি প্রতিষ্ঠা করেন লর্ড কারমাইকেল। জাদুঘরে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজারের বেশী দর্শনার্থী পরিদর্শনে করতে আসেন।<br /> জাদুঘরে প্রায় ২০,০০০ বর্গমিটারের চারতলা এই ভবনের ৪৬টি গ্যালারিতে রয়েছে প্রায় ৮৩ হাজারের বেশি নিদর্শন। এছাড়া দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ জাদুঘর।<br /> <h3 id="লাউয়াছড়া-জাতীয়-উদ্যান"> লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান</h3> মৌলভীবাজার জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যে দর্শনীয় স্থানটি রয়েছে সেটি এই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল যেটি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত।<br /> ঢাকা থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এর দূরত্ব প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার। আর, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে এর দূরত্ব ১০ কিলোমিটার।<br /> এই উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এছাড়া চাপালিশ, আগর, জারুল, আউয়াল, আকাশমনি, লোহা কাঠ, সেগুন সহ ১৬০ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ২৪০ প্রজাতির পাখি, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে!<br /> লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান গুলো হলঃ খাসিয়াপুঞ্জি, পানের বরজ, চা বাগান, ঝিরি, চা-বাগান, উচু-নিচু টিলা, আনারস, লিচু ও লেবু বাগান।<br /> <h3 id="মইন-ঘাট"> মইন ঘাট (মিনি কক্সবাজার)</h3> ঢাকার দোহারে অবস্থিত মৈনট ঘাট ইংরেজিতেঃ Moinot Ghat। পদ্মা নদীর অপরূপ জলরাশির দেখে আপনি অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকবেন। ঢাকার দোহারের এই মইন ঘাট কে মিনি কক্সবাজার নামে ডাকা হয়ে থাকে।<br /> মইন ঘাটের আশেপাশে আরও দর্শনীয় স্থান গুলো হলঃ উকিলবাড়ি, নবাবগঞ্জের জজবাড়ি, আনসার ক্যাম্প, খেলারাম দাতার বাড়ি।<br /> <h3 id="খৈয়াছড়া"> খৈয়াছড়া</h3> সীতাকুণ্ডের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণাগুলোর মধ্যে অন্যতম এই খৈয়াছড়া ঝর্ণা যাকে ইংরেজিতে বলা হয়ঃ Khoiyachora Waterfall ।<br /> ঢাকা থেকে খৈয়াছড়া দূরত্ব প্রায় ২১৬ কিলোমিটার। আপনি এখানে ঝর্ণার নয়টি ধাপ ও নান্দনিক সৌন্দর্য্য দেখে অবাক হবেন।<br /> খৈয়াছড়া ঝর্ণার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান গুলো হলঃ কমলদহ ঝর্ণা, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণা, ঝরঝরি ঝর্ণা।<br /> <h3 id="তাজহাট-জমিদার-বাড়ি"> তাজহাট জমিদার বাড়ি</h3> রংপুর শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে মাহিগঞ্জের তাজহাট গ্রামে এই তাজহাট জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। ঢাকা থেকে তাজহাট জমিদার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ২৯৮ কিলোমিটার।<br /> বর্তমানে তাজহাটে অবস্থিত তাজহাট জমিদার বাড়িটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ টি একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।<br /> তৎকালীন প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করে মান্নালাল ১৯১৭ সালে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।<br /> জমিদার বাড়িতে দেশের দর্শনার্থীর প্রবেশের টিকেট মূল্য ১০০ টাকা এবং বিদেশীদের প্রবেশ টিকেটের মূল্য ২০০ টাকা।<br /> <h3 id="ফয়েজ-লেক"> ফয়েজ লেক</h3> চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলস্টেশন এর অদূরে খুলশি এলাকায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ যা এই ফয়েজ লেক। ঢাকা থেকে ফয়েজ লেক দূরত্ব প্রায় ২৬৩ কিলোমিটার। আর, চট্টগ্রামের জিরো পয়েন্ট থেকে ৮ কিলোমিটার।<br /> ৩৩৬ একর জমি উপর এই ফয়েজ লেক অবস্থিত। ফয়েজ লেকে প্রবেশ মূল্যঃ ২৫০ টাকা।<br /> <h3 id="বঙ্গবন্ধু-শেখ-মুজিব-সাফারি-পার্ক"> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক</h3> বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন মাওনা ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক অবস্থিত। ঢাকা থেকে এই সাফারি পার্ক এর দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিলোমিটার।<br /> পুরো বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, সাফারি কিংডম, কোর সাফারি পার্ক, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, এক্সটেনসিভ এশিয়ান সাফারি পার্ক নামক ৫ টি অংশে বিভক্ত।<br /> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ৩৬৯০ একর জমির বিস্তৃত। এখানে রয়েছে চিত্রা হরিণ, জলহস্তী, হনুমান, ভল্লুক, গয়াল, বাঘ, সিংহ, হাতি, সাম্বার, মায়া হরিণ, বানর, কুমির ও বিচিত্র পাখী।<br /> <h3 id="বান্দরবান"> বান্দরবান</h3> বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি এই বান্দরবান। ঢাকা থেকে বান্দরবানের দূরত্ব প্রায় ৩৯১ কিলোমিটার।<br /> বান্দরবানের দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার, উত্তর-পশ্চিমে চট্রগ্রাম জেলা, উত্তরে রাঙামাটি ও পুর্বে মায়ানমার। বান্দরবানে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। বান্দরবান জেলার মোট আয়তন ৪৪৭৯.০৩ বর্গ কিলোমিটার।<br /> <h3 id="ষাট-গম্বুজ-মসজিদ"> ষাট গম্বুজ মসজিদ</h3> বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে ষাট গম্বুজ মসজিদ অবস্থিত। এটি একটি প্রাচীন মসজিদ। ঢাকা থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদ এর দূরত্ব প্রায় ২৬৬ কিলোমিটার।<br /> খান-ই-জাহান আলী ১৫০০ শতাব্দীতে ষাট গম্বুজ মসজিদ টি নির্মাণ করেছেন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।<br /> ৮১ টি গম্বুজ বিশিষ্ট হলেও এটিকে ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে নামকরন করা হয়।<br /> ষাট গম্বুজ মসজিদ এর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান হলঃ বাগেরহাট জাদুঘর, খান জাহান আলীর মাজার, মংলা বন্দর, নয় গম্বুজ মসজিদ।<br /> <h3 id="সোনারগাঁও"> সোনারগাঁও</h3> সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। ঢাকা থেকে সোনারগাঁও এর দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার। অবস্থান ঢাকা থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে।<br /> একসময় সোনারগাঁও কে স্বর্ণগ্রাম বা সুবর্ণগ্রাম নামে অভিহিত করা হত। এটি বঙ্গের এক প্রাচীন জনপদ যেখানে, স্বর্ণভূষিত জাতি নামে আদিম জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল।<br /> একসময় ঈশা খাঁর রাজধানী ছিল এই সোনারগাঁও। সোনারগাঁও এর নামকরণও করা হয় ঈশা খাঁর স্ত্রী সোনাবিবির নামে।<br /> সোনারগাঁও এর উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান সমূহ হচ্ছে, পাঁচবিবির মাজার, সোনাবিবির মাজার, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সমাধি, ইব্রাহীম দানিশমান্দ-এর দরগা, শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, পানাম নগর, সংগ্রাম ভাস্কর্য, সোনারগাঁও গ্রন্থাগার, জামদানি শাড়ি বিক্রয় কেন্দ্র।<br /> <h3 id="শালবন-বৌদ্ধ-বিহার"> শালবন বৌদ্ধ বিহার</h3> বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন শালবন বৌদ্ধ বিহার কুমিল্লা জেলার কোটবাড়িতে অবস্থিত। কুমিল্লা জেলার ১২শ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত লালমাই ময়নামতি প্রত্নস্থলের অনেকগুলো প্রাচীন স্থাপনার মধ্যে বৌদ্ধ বিহার একটি।<br /> ময়নামতিতে খনন করে যতগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে তার ভিতরে শালবন বিহার অন্যতম। কুমিল্লা বার্ড এবং লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থিত।<br /> শালবন বিহার এর নামকরন করা হয়েছে শাল গজারির ঘন বন এর কারনে।<br /> শালবন বৌদ্ধ বিহার এর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ, ময়নামতি জাদুঘর, ময়নামতি প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর, বিশ্বযুদ্ধের ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, লালমাই পাহাড়, ব্লু-ওয়াটার পার্ক, কুটিলা মুড়া, ভোজ বিহার, কুমিল্লা বার্ড।<br /> <h3 id="জাতীয়-স্মৃতিসৌধ"> জাতীয় স্মৃতিসৌধ</h3> বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঢাকার সাভারে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে সাভার উপজেলায় ৪৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতি সৌধ কমপ্লেক্স। <br /> ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের চিরন্তন প্রতীক হিসেবে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের দশটি গণকবর রয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।<br /> জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।<br /> <h3 id="বাংলার-তাজমহল"> বাংলার তাজমহল</h3> তাজমহল বাংলাদেশ বা বাংলার তাজমহল বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এর জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে অবস্থিত।<br /> তাজমহল ১৮ বিঘা জায়গার উপর নির্মিত যা ভারতের আগ্রায়অবস্থিত একটি মুঘল নিদর্শন। বাংলার তাজমহল নির্মাণ করেছেন আহসানুল্লাহ মনি যিনি একজন চলচিত্র নির্মাতা।<br /> বাংলার তাজমহল তৈরী করতে সময় লেগেছিল প্রায় ৫ বছর আর এর নির্মান খরচ ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!<br /> তাজমহলটি তৈরী করা হয়েছে মার্বেল পাথর, হীরা এবং ব্রোঞ্জ দিয়ে। এই উপকরণ গুলো আনা হয়েছিল ইতালী এবং বেলজিয়াম থেকে। <br /> তাজমহল প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এর প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা।<br /> <h3 id="মাধবকুন্ড-জলপ্রপাত"> মাধবকুন্ড জলপ্রপাত</h3> সিলেট এর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় কাঁঠালতলিতে অবস্থিত একটি ইকোপার্ক যার নাম মাধবকুন্ড জলপ্রপাত বা মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক।<br /> মাধবকুন্ড জলপ্রপাত প্রায় ১৬২ ফুট উঁচু। ঢাকা থেকে মাধবকুন্ড এর দূরত্ব প্রায় ২৫৮ কিলোমিটার। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার এবং মৌলভীবাজার জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার।<br /> মাধবকুন্ড এর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ হল, পরিকুন্ড ঝর্ণা, চা বাগান, খাসিয়া পল্লী, কমলা, লেবু, সুপারী ও পানের বাগান, লাউয়াছড়া উদ্যান, হামহাম ঝর্ণা, বাইক্কা বিল, মনিপুরী পল্লী, মাধবপুর চা বাগান ও লেক, নবাব বাড়ি, হাকালুকি হাওর।<br /> <h3 id="মাধবপুর-লেক"> মাধবপুর লেক</h3> সিলেট এর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় মাধবপুর লেক অবস্থিত। মাধবপুর লেক এর আয়তন দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩ কিলোমিটার এবং এটি ৫০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত।<br /> লেক এর প্রস্থ স্থান বিশেষে ৫০ হতে ৩০০ মিটার পর্যন্ত। মাধবপুর লেক প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে সন্ধ্যা ৬টা খোলা থাকে। আর এই লেক তৈরি করা হয় ১৯৬৫ সালে।<br /> ঢাকা থেকে মাধবপুর লেক এর দূরত্ব প্রায় ১৯২ কিলোমিটার।<br /> <h3 id="সীতাকুন্ড"> সীতাকুন্ড</h3> বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলার নাম সীতাকুন্ড। ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড এর দূরত্ব প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার।<br /> সীতাকুণ্ড উপজেলার আয়তন প্রায় ২৭৩.৪৭ বর্গ কিলোমিটার। <br /> সীতাকুণ্ড উপজেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ হল, ঝরঝরি ঝর্ণা, কমলদহ ঝর্ণা, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কুমিরা ঘাট।<br /> <h3 id="খানজাহান-আলীর-মাজার"> খানজাহান আলীর মাজার</h3> খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় হযরত খান জাহান আলীর (র:) মাজার অবস্থিত। বাগেরহাট জেলা যে কয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন যাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সুপরিচিতি লাভ করেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হযরত খান জাহান আলী (র:)।<br /> ঢাকা থেকে খানজাহান আলীর মাজার এর দূরত্ব প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার। খানজাহান আলী বাগেরহাটের বিখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন।<br /> খানজাহান আলীর মাজার এর পাশাপাশি এখানে রয়েছে খানজাহান আলীর দীঘি। প্রতি বছর খান জাহান আলীর মাজার দেখার জন্য, ওরশ এবং মেলায় সারাদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত এসে সমবেত হন।<br /> <h3 id="বাংলাদেশ-বিমান-বাহিনী-জাদুঘর"> বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর</h3> বাংলাদেশ এর ঢাকার আগারগাঁও এর বেগম রোকেয়া সরণী তে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর অবস্থিত। ১৯৮৭ সালের জুন এর ১৭ তারিখে স্থাপিত এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে বিমান বাহিনী জাদুঘরটি শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।<br /> বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর উদ্বোধন করেন ইয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী এবং জাদুঘরটির মালিক বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। এটি বাংলাদেশের প্রথম বিমান জাদুঘর।<br /> এখানে মূলত বিভিন্ন সময়ের হেলিকপ্টার ও বিমান দিয়েই এই জাদুঘর সাজানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ গুলো হল, বলাকা, এয়ার টুওরার, পিটি-৬, ফুগাসি এম-১৭০, গ্লাইডা, এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০, হান্টার বিমান। <br /> এছাড়া এখানে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে পার্ক এবং রাইডের ব্যবস্থা।<br /> জাদুঘরটি সোম থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং শুক্র থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। সাধারণে জন্য ৪০ টাকা মূল্যের টিকেট সংগ্রহ করে জাদুঘরে প্রবেশ করা যায়।<br /> <h3 id="চাঁদপুর-মোহনা"> চাঁদপুর মোহনা</h3> চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে বিশেষ ভ্রমণ স্থান পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া তিন নদীর মিলনস্থল চাঁদপুর মোহনা।<br /> ঢাকা থেকে চাঁদপুর মোহনা এর দূরত্ব প্রায় ৯৮ কিলোমিটার। চাঁদপুর মোহনায় এখানে আপনি একজায়গায় বসে তিন নদীর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থল কে চাঁদপুর মোহনা বলা হয়ে থাকে।<br /> চাঁদপুর মোহনার আশেপাশে আপনি আরও দেখতে পাবেন, চাঁদপুর অঙ্গীকার, জেলা ব্র্যান্ডিং পর্যটন কেন্দ্র, ইলিশ ভাস্কর্য, ইলিশ চত্বর, রক্তধারা স্মৃতিসৌধ, চাঁদপুর ব্রিজ।<br /> <h3 id="আহসান-মঞ্জিল"> আহসান মঞ্জিল</h3> বাংলাদেশের পুরান ঢাকার ইসলামপুরের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। নওয়াব আবদুল গনি ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আহসান মঞ্জিল নির্মাণ করেন। আহসান মঞ্জিল এর নামকরণ করা হয় তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে।<br /> ঢাকা থেকে আহসান মঞ্জিল এর দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। ঢাকা শহরের প্রথম ইট-পাথরের তৈরি স্থাপত্য নিদর্শন হিসাবে আহসান মঞ্জিলকে ধরা হয়। আহসান মঞ্জিলের রংমহলের ২৩ টি কক্ষে ৪ হাজার ৭৭ নিদর্শন রয়েছে।<br /> <h3 id="মহাস্থানগড়"> মহাস্থানগড়</h3> বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি এবং ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত এই মহাস্থানগড়।<br /> ঢাকা থেকে মহাস্থানগড় এর দূরত্ব প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। আপনি জানেন কি? মহাস্থানগড় এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল!<br /> বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় এই ৪০০০ বছর পুরাতন স্থাপনা মহাস্থানগড় অবস্থিত।<br /> <h3 id="বিছানাকান্দি"> বিছানাকান্দি</h3> বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় রুস্তমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের মধ্যে এই বিছনাকান্দি অবস্থিত।<br /> ঢাকা থেকে বিছানাকান্দি এর দূরত্ব প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার। বিছনাকান্দি হচ্ছে একটি পাথর কোয়ারী। এরকম আরেকটি পাথর কোয়ারী হল সিলেটের জাফলং।<br /> <h3 id="পানাম-নগর"> পানাম নগর</h3> নারায়ণগঞ্জ জেলার, সোনারগাঁতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর এর নাম পানাম নগর যা পানাম সিটি নামেও পরিচিত।<br /> সোনারগাঁ ২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই পানাম নগরী। এটা হারানো নগরী হিসাবেও সুপরিচিত।<br /> ঢাকা থেকে পানাম নগর এর দূরত্ব প্রায় ৪৩ কিলোমিটার। পানাম নগর এর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান গুলো হল, লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, গোয়ালদি মসজিদ, বড় নগর, খাস নগর।<br /> <h3 id="মহেরা-জমিদার-বাড়ি"> মহেরা জমিদার বাড়ি</h3> বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে একটি হচ্ছে এই মহেরা জমিদার বাড়ি।<br /> ঢাকা থেকে মহেরা জমিদার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৬৬ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার। মহেড়া জমিদার বাড়ি আট একর জায়গা জুড়ে। <br /> <h3 id="রাতারগুল-সিলেট"> রাতারগুল সিলেট</h3> বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল অবস্থিত।<br /> ঢাকা থেকে রাতারগুল এর দূরত্ব প্রায় ২৫৩ কিলোমিটার এবং সিলেট শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার। <br /> রাতারগুল বনটি প্রায় ৩০,৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। রাতারগুল কে ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামেও ডাকা হয়।<br /> <h3 id="খাগড়াছড়ি"> খাগড়াছড়ি</h3> বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি পার্বত্য জেলার নাম খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।<br /> ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি এর দূরত্ব প্রায় ২৮৭ কিলোমিটার এবং চট্রগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি এর দূরত্ব প্রায় ১০.৫ কিলোমিটার।<br /> খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো হল, কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক (ঝুলন্ত ব্রীজ), মং রাজবাড়ি, গুইমারা, পুরাতন চা বাগান, দেবতার পুকুর, সিন্ধুকছড়ি পুকুর, বৌদ্ধ মন্দির, রামগড় জঙ্গল, রামগড়, পাহাড় ও টিলা, লক্ষ্মীছড়ি জলপ্রপাত, স্বার্থক, শান্তিপুর অরণ্য কুঠির, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, রামগড়, হাতিমাথা পাহাড়: পাহাড়িরা একে এ্যাডোশিরা মোন বলে। এ্যাডো শব্দের মানে হাতি আর শিরা মানে মাথা।, পানছড়ি রাবার, ড্যাম, খাগড়াছড়ি গেইট, তৈদুছড়া ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রীজ, মায়াবিনী লেক, ভাইবোনছড়া, মাটিরাঙ্গা জলপাহাড়, শতবর্ষী বটগাছ, মাটিরাঙ্গা। <br /> <h3 id="নাটোর-রাজবাড়ী"> নাটোর রাজবাড়ী</h3> বাংলাদেশের নাটোর সদর উপজেলায় অবস্থিত নাটোর রাজবাড়ী যা নাটোর রাজবংশের একটি স্মৃতিচিহ্ন।<br /> ঢাকা থেকে নাটোর রাজবাড়ী এর দূরত্ব প্রায় ২০২ কিলোমিটার।<br /> <h3 id="মাইকেল-মধুসূদন-দত্তের-বাড়ি"> মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি</h3> ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও নাট্যকার এবং সনেট করিতার জন্য বিখ্যাত মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুরে অবস্থিত।<br /> মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।<br /> মধুপল্লিতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভাস্কর্য, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির বাক্স, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, পাথরের গামলা ইত্যাদি রয়েছে।<br /> <h3 id="মধুটিলা-ইকোপার্ক"> মধুটিলা ইকোপার্ক</h3> বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিবেশ উদ্যান হিসেবে মধুটিলা ইকোপার্ক গড়ে উঠেছে।<br /> ঢাকা থেকে মধুটিলা ইকোপার্ক এর দূরত্ব প্রায় ১৮১ কিলোমিটার এবং শেরপুর জেলা থেকে ৩০ কিলোমিটার। মধুটিলা ইকোপার্ক এর আয়তন ৩৮৩ একর।<br /> মধুটিলা ইকোপার্কে শোভাবর্ধনকারী ও বিরল প্রজাতির বৃক্ষের বনায়নের পাশাপাশি আছে রয়েছে বিশ একরের ঔষধি বৃক্ষের বনায়ন। তাছাড়া আরও রয়েছে রেস্ট হাউজ, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, স্টার ব্রিজ, বাসগৃহ, বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতি, পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট এবং বসার স্থান।<br /> <h3 id="তাজিংডং"> তাজিংডং</h3> বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংশা ইউনিয়নের সাইচল পর্বতসারিতে অবস্থিত এই তাজিংডং। <br /> ঢাকা থেকে তাজিংডং এর দূরত্ব প্রায় ৩২৪ কিলোমিটার এবং বান্দরবন থেকে ৫০ কিলোমিটার আর রুমা উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার।<br /> তাজিংডং পর্বতের উচ্চতা ১,২৮০ মিটার বা ৪১৯৮.৪ ফুট। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। আগে কেওক্রাডংকে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মনে করা হত, তবে এখন আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে।<br /> <h3 id="লালবাগ-কেল্লা"> লালবাগ কেল্লা</h3> বাংলাদেশের ঢাকার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় লালবাগ কেল্লা অবস্থিত।<br /> ঢাকা থেকে লালবাগ কেল্লার দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার। ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র যুবরাজ শাহজাদা আজম লালবাগ কেল্লার কাজ শুরু করেন।<br /> লালবাগ কেল্লা প্রবেশ করতে জনপ্রতি ১০ টাকায় টিকেট কাটতে হয় আর বিদেশী পর্যটকদের টিকেট জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা।<br /> লালবাগ কেল্লা সপ্তাহের রবি ও সোমবার যথাক্রমে পূর্ণ ও অর্ধ দিবসের জন্য লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে।<br /> <h3 id="পাহাড়পুর-বৌদ্ধ-বিহার"> পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার</h3> বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার অবস্থিত।<br /> ঢাকা থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এর দূরত্ব প্রায় ২৪৭ কিলোমিটার।<br /> ধর্মপালদেব ৯ম শতকে এই বৌদ্ধ বিহার তৈরি করেন। আর ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম ঐতিহাসিক স্থাপনাটি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত করে। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রায় ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের ধর্মচর্চার কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল।<br /> <h3 id="মুজিবনগর-স্মৃতিসৌধ"> মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ</h3> বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ অবস্থিত। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ স্থাপন করেন তানভীর করিম।<br /> ঢাকা থেকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ দূরত্ব প্রায় ২৮০ কিলোমিটার। ২৩ টি ত্রিভূজাকৃতি দেয়ালের সমন্বয়ে স্মৃতিসৌধ গঠিত। যা বৃত্তাকার উপায়ে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে।<br /> <h3 id="রবীন্দ্র-কুঠিবাড়ি"> রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি</h3> বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় শিলাইদহ বা রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্মৃতি বিজড়িত এই রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি। <br /> ঢাকা থেকে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি দূরত্ব প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার। রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির পাশদিয়ে পদ্মা নদী বয়ে গেছে।<br /> <h3 id="নুহাশ-পল্লী"> নুহাশ পল্লী</h3> বাংলাদেশের গাজীপুর জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পিরুজালী গ্রামে নুহাশ পল্লী অবস্থিত।<br /> ঢাকা থেকে নুহাশ পল্লীর দূরত্ব প্রায় ৪৮ কিলোমিটার।<br /> নুহাশ পল্লীর আয়তন প্রায় ৪০ বিঘা। নুহাশ পল্লী মূলত হুমায়ূন পুত্র নুহাশের নামানুসারে নুহাশ পল্লী নামকরণ করা হয়। নুহাশ পল্লীর প্রতিটি স্থাপনায় মিশে আছে গল্পের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের স্পর্শ এবং ভালোবাসা।<br /> <h3 id="ছেঁড়া-দ্বীপ"> ছেঁড়া দ্বীপ</h3> বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ছেঁড়া দ্বীপ অবস্থিত। স্থানীরা এই দ্বীপ কে ছেঁড়াদিয়া’ বা ‘সিরাদিয়া’ ডাকে।<br /> ঢাকা থেকে ছেঁড়া দ্বীপ এর দূরত্ব প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার। ছেঁড়া দ্বীপ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পাথর, প্রবাল এবং নারিকেল গাছে পরিপূর্ণ।<br /> <h3 id="টেকনাফ"> টেকনাফ</h3> বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা এই টেকনাফ। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা এটি।<br /> ঢাকা থেকে টেকনাফ এর দূরত্ব প্রায় ৪৪৮ কিলোমিটার আর চট্রগ্রাম থেকে প্রায় ১৯৩ কিলোমিটার।<br /> টেকনাফ এর আয়তন প্রায় ৩৮৮.৬৮ বর্গ কিলোমিটার।<br /> <h3 id="চিম্বুক-পাহাড়"> চিম্বুক পাহাড়</h3> বাংলাদেশের বান্দরবান সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে এবং সমুদ্রের থেকে ২৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই চিম্বুক পাহাড়।<br /> ঢাকা থেকে চিম্বুক পাহাড় এর দূরত্ব প্রায় ৩৩৪ কিলোমিটার। চিম্বুক পাহাড় কে বাংলার দার্জিলিং বলা হয়ে থাকে। এই পাহাড় থেকেই সূর্যোদ এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়।<br /> <h3 id="স্বপ্নপুরী-পিকনিক-স্পট"> স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট</h3> বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে প্রায় ৪০০ একর ভূমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে এই স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট।<br /> ঢাকা থেকে স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট এর দূরত্ব প্রায় ৩০৯ কিলোমিটার। দিনাজপুর থেকে দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার।<br /> স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে আরও দেখতে পাবেন, কৃত্রিম লেক, পাহাড়, উদ্যান, বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছগাছালি এবং ফুলের বাগান, ডাকবাংলো, বাজার, বিভিন্ন প্রতিকৃতি, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম ঝর্ণা, ইটখলা, ঘোড়ার রথ, শালবাগান, কৃত্রিম পশুপাখি, ফুলবাগিচা, হংসরাজ সাম্পান, খেলামঞ্চ, নামাজ জায়গা, কুঞ্জ, বিভিন্ন ভাস্কর্য, মাটির কুটির এবং ভূমিতে নির্মিত বাংলাদেশের মানচিত্র।<br /> <h3 id="ভিন্ন-জগত-রংপুর"> ভিন্ন জগত রংপুর</h3> বাংলাদেশের রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গীপুরে এই ভিন্ন জগত অবস্থিত। ভিন্ন জগতে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম প্লানেটেরিয়াম।<br /> ঢাকা থেকে ভিন্ন জগত এর দূরত্ব প্রায় ৩৪২ কিলোমিটার। <br /> প্লানেটেরিয়ামে জানতে পারবেন ‘মহাবিস্ফোরণ বা বিগব্যাং’-এর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস।<br /> <h3 id="তেতুলিয়া-জিরো-পয়েন্ট"> তেতুলিয়া জিরো পয়েন্ট</h3> বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে বাংলাদেশ মানচিত্রের সর্বোত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট বা তেতুলিয়া জিরো পয়েন্টটি রয়েছে।<br /> ঢাকা থেকে তেতুলিয়া জিরো পয়েন্ট এর দূরত্ব প্রায় ৪৭৬ কিলোমিটার।

বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র

সৌন্দর্যময় এ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। নিচে ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে তুলেধরা...

Read More

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃ

<div> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVZlwq9jsCbuDn5ev0iUl6QB_IAWrDDl4gbO1MhxCETCLQa7j1DPhwTQYzOTJzcocqDAXriyrZFm0JqSZQe_xR7b7T9TlbNqJO6nPzo9oqxdjgst7G0lcIOmZ5z4L48f-j9IptaLuwYeWu/s1600/u94244_725193_346392.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" data-original-height="237" data-original-width="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVZlwq9jsCbuDn5ev0iUl6QB_IAWrDDl4gbO1MhxCETCLQa7j1DPhwTQYzOTJzcocqDAXriyrZFm0JqSZQe_xR7b7T9TlbNqJO6nPzo9oqxdjgst7G0lcIOmZ5z4L48f-j9IptaLuwYeWu/s1600/u94244_725193_346392.jpg" /></a><b>কক্সবাজার</b>:- <span style="color: #333333; font-family: "nikosh"; mso-ascii-font-family: Nikosh; mso-bidi-language: #0845; mso-fareast-font-family: Nikosh;">কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। </span>বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি পর্যটন শহর। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশান।<br /> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> <b>কক্সবাজার</b>:- চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কিঃমিঃ দক্ষিণে অবস্হিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কি.মি.। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র। দেশের রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এবং বাসযোগে কক্সবাজার যাওয়া যায়৤ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অবধি রেললাইস স্থাপনের প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> আধুনিক কক্সবাজারের নাম রাখা হয়েছে ল্যাঃ কক্স (মৃত্যু ১৭৯৮) এর নামানুসারে যিনি ব্রিটিশ আমলে ভারতের সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। েএককালে কক্সবাজার <i>পানোয়া</i> নামেও পরিচিত ছিল যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে <i>হলুদ</i> <i>ফুল</i>। এর আরো একটি প্রাচীন নাম হচ্ছে <i>পালংকি</i>।</div> <div style="text-align: justify;"> নবম শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে ১৬১৬ সালে মুঘল অধিগ্রহণের আগে পর্যন্ত কক্সবাজার-সহ চট্টগ্রামের একটি বড় অংশ আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। মুঘল সম্রাট শাহ সুজা পাহাড়ী রাস্তা ধরে আরাকান যাওয়ার পথে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন এবং এখানেই ক্যাম্প স্থাপনের আদেশ দেন। তার যাত্রাবহরের প্রায় একহাজার পালঙ্কী কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা নামের স্থানে অবস্থান নেয়। ডুলহাজারা অর্থ হাজার পালঙ্কী। মুঘলদের পরে ত্রিপুরা এবং আরকান তার পর পর্তুগিজ এবং ব্রিটিশরা এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়।</div> <div style="text-align: justify;"> কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে। কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাঙলার গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরেরও পুরানো সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন। এবং শরণার্থীদের পুণর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেন কিন্তু কাজ পুরোপুরি শেষ করার আগেই মারা (১৭৯৯) যান। তার পূর্নবাসন অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার। কক্সবাজার থানা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে এবং পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgoY53e4P20I_fsrJbgE2Gkj1FXfdB9xlZ-qK3GvinFlLHCybvCFMWVzQ4l8AR0u_vZanYkxARWiKv0-3xcz0jGAkfJGJWLyMjMFuvLia-Gy7ylKYoKMHGC1pnfxpfvz5Phg4Uop24J0PvV/s1600/Coxs-Bazar-Photo-4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="780" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgoY53e4P20I_fsrJbgE2Gkj1FXfdB9xlZ-qK3GvinFlLHCybvCFMWVzQ4l8AR0u_vZanYkxARWiKv0-3xcz0jGAkfJGJWLyMjMFuvLia-Gy7ylKYoKMHGC1pnfxpfvz5Phg4Uop24J0PvV/s1600/Coxs-Bazar-Photo-4.jpg" /></a></div> </div> <div style="text-align: justify;"> পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত অনেক হোটেল, বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্র নির্মিত মোটেল ছাড়াও সৈকতের নিকটেই দু’টি পাঁচতারা হোটেল রয়েছে। এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট। সীমান্তপথে মিয়ানমার (পূর্ব নাম - বার্মা),থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে বার্মিজ মার্কেট।</div> <div style="text-align: justify;"> কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজাতি বা নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বাস করে যা শহরটিকে করেছে আরো বৈচিত্র্যময়। এইসব উপজাতিদের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায় প্রধান। কক্সবাজার শহর ও এর অদূরে অবস্থিত রামুতে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে বৌদ্ধ মন্দির। কক্সবাজার শহরে যে মন্দিরটি রয়েছে তাতে বেশ কিছু দুর্লভ বৌদ্ধ মূর্তি আছে। এই মন্দির ও মূর্তিগুলো পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ ও কেন্দ্রবিন্দু। কক্সবাজারে শুধু সমুদ্র নয়, আছে বাঁকখালী নামে একটি নদীও। এই নদীটি শহরের মৎস্য শিল্পের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে বিখ্যাত।</div> <div style="text-align: justify;"> <b style="line-height: 1.6em;">লাবণী</b><span style="line-height: 1.6em;"> </span><b style="line-height: 1.6em;">পয়েন্ট</b></div> <div style="text-align: justify;"> কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ছোট বড় অনেক দোকান যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।</div> <h3 style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: 14px;">হিমছড়ি</span></b></h3> <div style="text-align: justify;"> হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ভঙ্গুর পাহাড় আর ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়। হিমছড়িতে পাহাড়ের চূড়ায় একটি রিসোর্ট আছে যেখান থেকে সাগরের দৃশ্য অপার্থিব মনে হয়। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ এখানকার <i>ক্রিসমাস</i> <i>ট্রি</i>। সম্প্রতি হিমছড়িতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট।</div> <h3 style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: 13px; line-height: 1.2em;">ইনানী সমুদ্র সৈকত</span></b></h3> <div style="text-align: justify;"> দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে সৈকত সংলগ্ন আরও অনেক দর্শনীয় এলাকা রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণের বিষয়। সৈকত সংলগ্ন আকর্ষণীয় এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছ, ইনানী সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার থেকে ৩৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থিত। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে রাস্তায় মাত্র আধঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটি পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের জন্য উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত।</div> </div>

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃ

কক্সবাজার :- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি পর্যটন শহর। এটি চট্টগ...

Read More

বাঙালির ভাগ্য পরিক্রমা চিরদিন ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে ঘুরেছে

<span style="float: left;"></span><br /> <div class="row-fluid"> <div class="span12"> <div class="row-fluid"> <div class="span9 details pull-left"> <div id="font-resize" style="float: left; width: 100%;"> <div class="row-fluid hotdetails"> <div style="border-width: 0px; float: right; height: 0px; margin: 0px; overflow: hidden; padding: 0px; width: 0px;"> <ins class="adsbygoogle" data-ad-client="ca-pub-2783819449397342" data-ad-slot="3723910485" data-adsbygoogle-status="done" style="display: inline-block; height: 0px; width: 0px;"><ins id="aswift_3_expand" style="background-color: transparent; border: medium none; display: inline-table; height: 0px; margin: 0px; padding: 0px; position: relative; visibility: visible; width: 0px;"><ins id="aswift_3_anchor" style="background-color: transparent; border: medium none; display: block; height: 0px; margin: 0px; opacity: 0; overflow: hidden; padding: 0px; position: relative; visibility: visible; width: 0px;"></ins></ins></ins></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjofWODZMhW-f_UV0S_w37NYT9L1qOXPc-ce15iNeXn_CNMSGi5Rib_HZu33A80paLCqvlQ9AtzbH0NgbrKn-QsnWUBVpCuEPoowRrAWfkQhphfmGpkxJz4Vm5L9xtIqV8PzkvkSPO4v0aL/s1600/index.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="183" data-original-width="275" height="425" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjofWODZMhW-f_UV0S_w37NYT9L1qOXPc-ce15iNeXn_CNMSGi5Rib_HZu33A80paLCqvlQ9AtzbH0NgbrKn-QsnWUBVpCuEPoowRrAWfkQhphfmGpkxJz4Vm5L9xtIqV8PzkvkSPO4v0aL/s640/index.jpeg" width="640" /></a></div> ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটি সুস্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, বাঙালির ভাগ্য পরিক্রমা চিরদিন ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে ঘুরেছে। ভাগ্য বিপর্যয় বারবার দাসত্বের আকারে তাদের ললাটলিখন হয়ে আবির্ভূত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর ময়দানে লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। যদিও এ পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল সিরাজউদ্দৌলার সেনাপতি মীর জাফর আলি খাঁ ও তার অনুচরদের বিশ্বাসঘাতকতা। এ যুদ্ধে পরাজয়ের মধ্য দিয়েই বাংলার স্বাধীনতার সূর্য প্রায় দু শ’বছরের জন্য অস্তমিত হয়ে যায়। এর পরের ইতিহাস ইংরেজ শাসকদের অত্যাচার, অনাচার, নির্যাতন আর বঞ্চনার নির্মম ইতিহাস। কিন্তু বাঙালি জনগণ কখনোই ওই ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণকে মেনে নেয়নি। এর বড় আকারে প্রকাশ ঘটে ১৮৫৭ সালে। এ সময় জনতার অসন্তোষ সিপাহী বিদ্রোহের আকারে রূপ নেয়, যদিও তা চূড়ান্ত সফলতার মুখ দেখতে পায়নি। পরবর্তীতে বাংলার বীর সন্তান তিতুমীর, টিপু সুলতান ও হাজী শরীয়তুল্লাহ প্রমুখের প্রতিরোধ সংগ্রাম, চট্টগ্রামের বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন প্রমুখের সশস্ত্র প্রতিবাদ।<br /> বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার জন্য গঠিত হয় ভারতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ। এ দুটি দলের মাধ্যমে চলে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা এবং অসহযোগ আন্দোলন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ দু ভাগ হয়ে পাকিস্তান ও হিন্দুস্তান নামে দুটো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারতবর্ষের পূর্ব ও পশ্চিম এর দুটো অংশ নিয়ে গঠিত হয় পাকিস্তান। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব ছিল প্রায় দেড় হাজার মাইলের মতো। স্বাধীন হয়েও পূর্ব পাকিস্তান ধীরে ধীরে পশ্চিম পাকিস্তানের কলোনি হয়ে ওঠে, এখানকার বাঙালিরা আগের মতোই রয়ে গেল বঞ্চিত। পরিবর্তন হলো না তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার।<br /> <b>পাকিস্তান শাসনামল (১৯৪৭-১৯৭১):</b><br /> পাকিস্তান মূলত এমন একটি দেশ ছিলো যার দু খণ্ডের মানুষে-মানুষে শুধুমাত্র ধর্ম ছাড়া আর কোনই মিল ছিল না। হাজার মাইলের দূরত্ব ছাড়াও সংস্কৃতি, ভাষা, আচার-আচরণ এমনকি অর্থনৈতিক অবস্থানেও ছিল ব্যাপক ব্যবধান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি অনুসন্ধান করে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণমূলক আচরণ। কেবল অর্থনৈতিক শোষণ নয়, বাঙ্গালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপরও নিপীড়ন শুরু হয় এবং এর প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় যখন পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে ঘোষণা দেন “উর্দু এবং কেবলমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা”। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ জিন্নাহর এ ঘোষণা জনগণ মেনে নেয়নি। যার ফলশ্র“তিতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫১ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্র-জনতা। পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়ে আহমদ, রফিক ও জব্বাররা প্রমাণ করে যায় যে, পৃথিবীতে একমাত্র জাতি হিসেবে আমরা বাঙ্গালিরাই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি।<br /> <b>ওই সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী:</b><br /> ১৯৫৪: নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিপক্ষে যুক্তফ্রন্টের জয়। ঐ বছরের ৩ এপ্রিল শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুক হক চার সদস্য বিশিষ্ট যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা গঠন করেন। কিন্তু ৩১ মে পাকিস্তানের গভনর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিপরিষদ বাতিল করে দিয়ে শাসনতন্ত্রের ৯২ (ক) ধারা জারির মাধ্যমে প্রদেশে গভর্নরের শাসন প্রবর্তন করেন।<br /> ১৯৫৬: ২৩ মার্চ ১৯৫৬ পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র কবে কার্যকর হয় এবং এ বছর পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।<br /> ১৯৫৮: আইয়ুব খানের নেতৃত্বে সামরিক শাসন জারি।<br /> ১৯৬২: ছাত্রদের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন শুরু।<br /> ১৯৬৬: আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবর রহমান ছয় দফা দাবি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও স্বায়ত্ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেন।<br /> ১৯৬৮: শেখ মুজিবর রহমান, কিছু বাঙালি সাধারণ মানুষ এবং সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র কমিটি তাদের ১১ দফা আন্দোলন শুরু করে।<br /> ১৯৬৯: আইয়ুব বিরোধী গণঅভ্যুত্থান চরম রূপ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ, নবকুমার স্কুলের ছাত্র মতিউর রহমান এবং গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা<br /> ১৯৭০: জেনারেল আইয়ুব খান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যান। চরম চাপের মুখে ইয়াহিয়া খান সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন পায়, যা সমগ্র পাকিস্তানের সর্বমোট ৩০০ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তৎকালীন সামরিক সরকার ফলাফল মেনে নিলেও বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে।<br /> <b>উত্তাল মার্চ (১৯৭১):</b><br /> নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের অধিকার অর্জন করলেও ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। যদিও ৩ মার্চ ১৯৭১, ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের তারিখ নির্ধারিত হয়, কিন্তু ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানের পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বোনা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ কোনো কারণ ছাড়াই ৩ তারিখের নির্ধারিত অধিবেশন বাতিল করা হয়। ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ধৈর্যের শেষ সীমা ছাড়িয়ে যায় এই সিদ্ধান্তে। সারাদেশে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়। ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাদেশে পাঁচ দিনের হরতাল এবং অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। শুধুমাত্র তাঁর মুখের কথায় পুরো পূর্ব পাকিস্তান অচল হয়ে যায়। সরকার কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, কিন্তু বাঙ্গালি জনগণ রাজপথেই অবস্থান করে। পাঁচ দিন হরতাল শেষে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। ঘোষণা করেন- “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।<br /> সারাদেশ যখন ক্ষোভে উত্তাল তখন সামরিক বাহিনীতে চলতে থাকে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার পূর্বপ্রস্তুতি। বেলুচিস্তানের কসাই হিসেবে পরিচিত জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়, কিন্তু কোন বাঙ্গালি বিচারপতি তাকে শপথ পাঠ করাতে রাজি হয়নি। এদিকে ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার করতে থাকে, অপরদিকে চলতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র প্রেরণ।<br /> <b>অপারেশন সার্চলাইট:</b><br /> 1971-25-march ২৫ মার্চ রাতে জেনারেল ইয়াহিয়া পাকিস্তানি বাহিনীকে বাঙ্গালি নিধনযজ্ঞের সবুজ সংকেত প্রদান করে সন্ধ্যায় গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান যাত্রা করে। সে রাতেই পাকিস্তান বাহিনী শুরু করে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের হত্যাযজ্ঞ, যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালিদের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেয়া। এরই অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করা হয়, নির্বিচারে শহীদ করা হয় সারা বাংলাদেশের অসহায় ও নিরপরাধ সাধারণ মানুষদের।<br /> হত্যাকাণ্ডের সংবাদ যাতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে না পৌঁছায় সে লক্ষ্যে ২৫ মার্চের আগেই ঢাকা থেকে সব বিদেশি সাংবাদিককে বের করে দেয়া হয়। এ রকম একটি অবস্থায়ও সাংবাদিক সাইমন ড্রিং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে এই গণহত্যার খবর জানিয়েছিলেন। যদিও এই হত্যাযজ্ঞের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা, কিন্তু বাঙালি হত্যা পুরো দেশজুড়ে চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে তারা চালায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। একমাত্র হিন্দু আবাসিক হল জগন্নাথ হল পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়। এতে ছয় শ’থেকে সাত শ’আবাসিক ছাত্র নিহত হয়। যদিও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে, কিন্তু হামিদুর রহমান কমিশনের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করে।<br /> <b>স্বাধীনতার ঘোষণা:</b><br /> টেক্সাসে বসাবাসরত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত নথি সংগ্রহক মাহবুবুর রহমান জালাল বলেন, “বিভিন্ন সূত্র ও দলিল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই প্রমাণ হয় যে, ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যা ছিল তার বা অন্য কারো হয়ে ঘোষণা দেয়ার অনেক পূর্বে। ২৫ মার্চে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ভেঙে গেলে ইয়াহিয়া গোপণে ইসলামাবাদে ফিরে যান। এবং গণহত্যা চালানোর পর পাকিস্তানি সেনারা সেই রাতেই বঙ্গবন্ধুসহ তার পাঁচ বিশ্বস্ত সহকারীকে গ্রেফতার করে।  গ্রেফাতারের পূর্বে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে যান। মূল ঘোষণার অনুবাদ নিম্নরূপ:<br /> “এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর<br /> বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।”<br /> <b>বিভিন্ন মাধ্যমে ঘোষণাপত্র:</b><br /> ২৫-শে মার্চ থেকে ঢাকার হোটেল ইন্টারকোন্টিনেন্টালে অবস্থানরত সকল সাংবাদিককে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ২ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ করে রাখে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র  থেকে ঘোষণা হয় যে “শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে সাড়ে সাত কোটি জনগণকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা দেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন”। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে স্বাধীনতার মূল ঘোষক কে ছিলেন তা নিয়ে ব্যপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে ১৯৮২ সালে সরকারিভাবে একটি ইতিহাস পুস্তক প্রকাশিত হয় যাতে ৩টি বিষয় উপস্থাপিত হয়।<br /> # শেখ মুজিবুর রহমান একটি ঘোষণাপত্র লিখেন ২৫-এ মার্চ মাঝ রাত কিংবা ২৬–শে মার্চ প্রথম প্রহরে।<br /> # শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাপত্রটি ২৬ তারিখে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়। কিন্তু সীমিতসংখ্যক মানুষ সেই সম্প্রচারটি শুনেছিল।<br /> # পূর্ব বাংলা রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের হয়ে ২৭-শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রচার করে, ফলে বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে জানতে পারে। ঘোষণাটি ছিল নিম্নরূপ:<br /> “On behalf of our great national leader, supreme commander of Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman do hereby proclaim the independence of Bangladesh. It is further proclaimed that Sheikh Mujibor Rahman is sole leader of elected representatives of 75 million people of Bangladesh. I therefore appeal on behalf of our great leader Sheikh Mujibur Rahman to the government of all democratic countries of the world specially big world part and neighboring countries to take effective steps to stop immediately. The awful genocide that has been carried on by the army of occupation from Pakistan. The legally elected representatives of the majority of the people as repressionist, it is cruel joke and contradiction in terms which should be fool none. The guiding principle of a new step will be first neutrality, second peace and third friendship to all and anonymity to none. ─ May Allah help us, Joy Bangla.”<br /> <b>অনুবাদ:</b><br /> “আমাদের মহান নেতা, বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের হয়ে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। এটি আরও ঘোষণা করা হচ্ছে যে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একমাত্র নেতা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমান। আমি সেই কারণে আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হয়ে বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিশেষ করে বৃহৎ বিশ্ব ও প্রতিবেশীদের কাছে কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হামলার ফলে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু হয়েছে। অধিকাংশ জনগণের বৈধভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নিপীড়নকারী, এটি একটি ক্রূর কৌতুক ও মিথ্যা অপবাদ যার কাউকে বোকা বানানো উচিৎ নয়। বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান পদক্ষেপগুলোর মধ্যে প্রথম হতে হবে নিরপেক্ষতা, দ্বিতীয় শান্তি এং তৃতীয় সকলের সাথে বন্ধুভাবপন্ন ও কারো সম্বন্ধে অজ্ঞানতা নয়। ─আল্লাহ্ সহায় হোক, জয় বাংলা। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)<br /> <b>অস্থায়ী সরকার গঠন:</b><br /> 1971-25-march১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমা (বর্তমানে জেলা মেহেরপুর) বৈদ্যনাথতলার অন্তর্গত ভবেরপাড়া (বর্তমান মুজিবনগর) গ্রামে। শেখ মুজিবুর রহমান এর অনুপস্থিতিতে তাঁকে রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন করা হয়। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব দেয়া হয় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে, আর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদ এর ওপর। বাংলাদেশের প্রথম সরকার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে শপথ গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করে। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী। এ ঘোষণাপত্র প্রবাসী সরকারের অবস্থান ও যৌক্তিকতা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে। এদিনই ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয় এবং একই সঙ্গে ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার্যকর হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও বৈধ বলে স্বীকৃত হয়। এ ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে চেইন অফ কমান্ড স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়।<br /> <b>সময়ের পরিক্রমায় যুদ্ধের রূপ/ক্ষেত্র-মার্চ থেকে জুন:</b><br /> ঢাকায় গণহত্যা চালানোর পর পাকিস্তানি বাহিনী ১০ এপ্রিলের মধ্যে সারা বাংলাদেশ নিজেদের আয়ত্তে আনার পরিকল্পনা করে। কিন্তু বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এবং ছাত্র ও সাধারণ জনতা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। চট্টগ্রামে বাঙ্গালি সেনাবাহিনীর সদস্য ও ইপিআর এর সদস্যরা বিদ্রোহ করে শহরের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ পেতে পাকিস্তানি বাহিনীকে যুদ্ধজাহাজ থেকে গোলাবর্ষণ করতে হয় এবং বিমান আক্রমণ চালাতে হয়। কুষ্টিয়া, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর ইত্যাদি জেলাতেও বাঙ্গালি সেনারা বিদ্রোহ করে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরা বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্রের বলে মে মাসের শেষ নাগাদ এসব মুক্তাঞ্চল দখল করে নেয়। মার্চের শেষ দিক হতেই পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া শরণার্থীদের এই স্রোত নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এবং এ সময়ে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে।<br /> <b>জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর</b><br /> imagesমুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধগুলো ছিল অনেকটাই পরিকল্পনাহীন। অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হবার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই পরিকল্পিত রূপ পেতে শুরু করে। ১১ জুলাই বাংলাদেশের সামরিক কমান্ড তৈরি করা হয়। কর্ণেল এম.এ.জি ওসমানীকে কমান্ডার ইন চিফ, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবদুর রবকে চিফ অফ আর্মি স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকারকে ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ ও চিফ অফ এয়ার ফোর্সের দায়িত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশকে সর্বমোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে আসা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রতিটি সেক্টরের জন্যে একজন করে কমান্ডার নির্বাচন করা হয়। ১০নং সেক্টরটি ছিল কমান্ডার ইন চিফের (সি-ইন-সি) সরাসরি তত্ত্বাবধানে, যার মধ্যে নৌ-বাহিনী ও সি-ইন-সির বিশেষ বাহিনীও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে উপযুক্ত কোন কর্মকর্তা ছিল না বলে ১১নং সেক্টরের (নৌ সেক্টর) কোন সেক্টর কমান্ডার ছিল না; এ সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা যখন যে সেক্টরে অপারেশন চালাতেন, তখন সে সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের অধীনে থাকতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বেশির ভাগ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ছিল সীমান্ত এলাকায় এবং ভারতের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ লাভ করত। সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করার জন্যে তিনটি ব্রিগেড (১১ ব্যাটালিয়ন) তৈরি করা হয়। এছাড়াও প্রায় এক লাখ মুক্তিযোদ্ধাকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের ভেতরে নিয়মিত বিভিন্ন অপারেশনে পাঠানো হত।<br /> আগস্টের পরপরই বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের দোসরদের ওপর হামলা চালাতে থাকে। পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটি থেকে শুরু করে সামরিক স্থাপনা, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ইত্যাদি মুক্তিযোদ্ধদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। গেরিলা হামলায় পাকিস্তানের চৌকশ সামরিক বাহিনীকে নাজেহাল করে তোলে স্বল্প দিনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাঙালি গেরিলা যোদ্ধারা। এমনকি রাজধানী ঢাকায় ক্রাক প্লাটুন দুঃসাহসী সব অভিযান চালায়। ১৬ আগস্ট ১৯৭১ নৌ-কমান্ডোরা অপারেশন জ্যাকপটের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করে থাকা পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ মাইন দিয়ে ধ্বংস করে দেয়। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল শত্র“মুক্ত হতে শুরু করে।<br /> অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর<br /> মুক্তিবাহিনী তীব্র আক্রমণের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী সীমান্ত পোস্টগুলো একে একে দখল করে নিতে শুরু করে। বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনী কমলপুর, বিলোনিয়া, বয়রা প্রভৃতি সীমান্ত পোস্টে হামলা করে এবং ৩০৭টি পোস্টের ৯০টিই দখল করে নেয়। পাশাপাশি গেরিলা বাহিনীর হামলাও তীব্রতর হয়ে ওঠে। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার বাহিনীর নিয়মিত কাজ ছিল সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করা এবং দেশপ্রেমিক বাঙ্গালিদের নির্যাতন করা। সীমান্তে ও দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণের জবাবে তারা এ অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু অক্টোবরের শেষের দিকে মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়ে তারা দিনের বেলাতেও নিজেদের সামরিক ঘাঁটি থেকে বের হতে ভয় পেত। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জরুরি ভিত্তিতে পাঁচ ব্যাটালিয়ন সৈন্য তলব করা হয়।<br /> ৪ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আহুত নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি সম্বলিত মার্কিন প্রস্তাব পেশ করার প্রস্তুতি নেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে উপমহাদেশের সংঘাতের জন্য মুখ্যত ভারতকে দায়ী করেন। নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন শুরু হবার পর মার্কিন প্রতিনিধি জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্য স্ব-স্ব সীমান্তের ভেতরে ফিরিয়ে নেওয়া এবং সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ক্ষমতা প্রদান করার জন্য এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সোভিয়েট ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) প্রতিনিধি এই প্রস্তাবকে ‘একতরফা’ বলে অভিহিত করে ভেটো (ভোটো মানে- আমি মানি না) প্রয়োগ করেন। পোল্যান্ডও প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ফ্রান্স ও ব্রিটেন ভোট দানে বিরত থাকে।<br /> imagesপাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থা দেখতে দেখতে এত খারাপ হয়ে যায় যে, কোন সমাধান খুঁজে না পেয়ে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ ভারতে আক্রমণ করে বসে। তখন পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ আক্রমণ করে ভারতের বিমান বাহিনীকে পুরোপুরি পঙ্গু করে দেয়া। কিন্তু তারা সেটি করতে সক্ষম হয়নি। ভারত সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে তার সেনাবাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে। বাংলাদেশের ভেতর তখন পাকিস্তানের পাঁচটি পদাতিক ডিভিশন। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হবার পর সেটি চলে মাত্র ১৩ দিন। যুদ্ধ শুরু হবার পর পাকিস্তানের একটি একটি করে ঘাঁটির পতন হতে থাকে। যৌথবাহিনী তাদেরকে পাশ কাটিয়ে অবিশ্বাস্য দ্রুততর গতিতে ঢাকার কাছাকাছি এসে হাজির হয়ে যায়। তারা ঢাকা ঘেরাও করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় রেডকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন।<br /> <b>স্বাধীন বাংলাদেশ: ১৯৭২-বর্তমান</b><br /> ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে আসেন। এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৭৫ সালের শুরুতে অরাজক অবস্থা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে দেশে বাকশালের অধীনে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু অরাজক অবস্থা দিন দিন বাড়তে, একই সঙ্গে বাড়তে থাকে চাপা ক্ষোভ। দেশের এরকম একটি দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। ক্ষমতার মঞ্চে আসে সাময়িক পরিবর্তন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ।<br /> কিন্তু শাসন ক্ষমতা নিয়ে গোপনে ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। পরবর্তী তিন মাসে (১৯৭৫) একাধিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা-অভ্যুত্থান চলতে থাকে, যার সমাপ্তিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি ক্ষমতার আসার পর থেকে দেশে ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা বিরাজ করতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে (এক অভ্যুত্থানে) নিহত হন। ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের পরবর্তী শাসক জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রক্তপাতবিহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। এরশাদ স্বৈরশাসক হিসেবে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয়, বাংলাদেশ ফিরে আসে গণতন্ত্রের পথে। সেই থেকে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।<br /> পরিশেষে, স্বাধীনতার পর থেকে নব্বই এর দশক পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অনেকটাই হতাশাপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই। বাংলাদেশ আজ মাথায় অনেক সাফল্যের মুকুট পরে ওঠে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক বিভাজন ভুুলে গিয়ে এবং দুর্নীতির মূল উৎপাটন করে জাতীয় স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিতে পারলে এ সাফল্য আরও দৃশ্যমান হবে, দেশে আসবে অথনৈতিক মুক্তি। আমরা পাব সত্যিকারের এক স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।</div> </div> </div> </div> </div> </div>

বাঙালির ভাগ্য পরিক্রমা চিরদিন ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে ঘুরেছে

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটি সুস্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, বাঙালির ভাগ্য পরিক্রমা চিরদিন ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে ঘুরেছে। ভাগ্য বিপ...

Read More

Publication of Public Interest Information (Protection) Act, 2011 (Act No. 7 of 2011) [22nd June, 2011]

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim2Wf2tLKMOcu9WGFf9BK3e176zz9zfoOF_N4mJqtSfhAC98oSQND1YNTWOKVGqDcathyZo2VDM3O25Jgjl2r2C8VCWbQu5PHADS20YYoupkN6tahtRVBkKzxPmXUDSM8Y_tW46mvFnoZA/s1600/14_imf_19.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="734" data-original-width="1600" height="182" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim2Wf2tLKMOcu9WGFf9BK3e176zz9zfoOF_N4mJqtSfhAC98oSQND1YNTWOKVGqDcathyZo2VDM3O25Jgjl2r2C8VCWbQu5PHADS20YYoupkN6tahtRVBkKzxPmXUDSM8Y_tW46mvFnoZA/s400/14_imf_19.jpg" width="400" /></a></div> <br />                                                               Bangladesh Gazette<br /> <br />                                                                Act No. 7 of 2011<br /> <br />                                                                 Additional issue<br />                                                         Published by the Authority<br /> <br />                                                          Wednesday, 22 June, 2011<br /> <br />                                                      Bangladesh National Parliament<br />                                    Dhaka, Wednesday, 22 June, 2011 AD/8 Ashar, 1418<br /> <br /> Enacted by the Parliament, the following Act has received President’s consent on 21 June, 2011 (7th Ashar, 1418) and the act is being published for the public awareness:-<br /> <br /> Act No. 7 of 2011<br /> An Act enacted to provide for legal protection to persons disclosing information relating to public interest and for making rules concerning other relevant affairs.<br /> <br /> WHEREAS it is expedient to provide for legal protection to the person disclosing information concerning public interest and for making rules concerning other relevant affairs;<br /> It is hereby enacted as follows: <br /> <br /> Short title and commencement: - (1) This Act may be called the Public-interest Information Disclosure Act (Provide Protection), 2011.<br /> <br /> (2) It shall come into force at once.<br /> <br /> Definition: - In this Act, unless there be something repugnant in the subject or context,—<br /> <br /> “Competent Authority” means the chief of any agency or chief or chief executive of divisional, regional, zila, upazila or union office of any department, directorate or office subordinate to it and the following persons or office-bearers shall also be included, as:-<br /> <br /> For persons holding constitutional posts, President;<br /> For member of parliaments, Speaker;<br /> For any member from judiciary, Register of Supreme Court;<br /> If related to corruption, Anti Corruption Commission;<br /> If related to public money, Comptroller and Auditor General; and<br /> For illegal and unethical deeds, Officer-in-Charge of respective police station;<br /> <br /> “Officer” means including a person who is or was elected, selected, contractually or permanently appointed in any agency;<br /> <br /> “Public interest” means the job undertaken by the government or by its directions for the interest of public or for a part of them;<br /> <br /> “Public interest information” or “information” means is such an information of any agency which expresses that, any officer was, is or may be involved in:<br /> <br /> irregular and unauthorized use of public money;<br /> mismanagement of public resources;<br /> misappropriation or misuse of public money or resources;<br /> abuse of power or maladministration;<br /> committing criminal offense or illegal or prohibited acts;<br /> a conduct that is harmful or dangerous for public health, safety or to the environment; or<br /> corruption; <br /> <br /> was, is or may be involved in it;<br /> <br /> [Explanation: In this section, “corruption” will render the similar meaning of ‘gratification’ of section 161 of Penal Code, 180 (Act No. XLV of 1860.)<br /> <br /> “Whistleblower” means the person who discloses the public interest information to a competent authority;<br /> <br /> “Determined” means determined by rules;<br /> <br /> “Code Criminal Procedures” means Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);<br /> <br /> “Agency” means –<br /> <br /> any agency established under the Constitution of the People’s Republic of Bangladesh;<br /> any ministry, division or office of the government established under the rules of business under the article 55 (6) of the Constitution of the People’s Republic of Bangladesh;<br /> any statutory agency or institution established by or under an act or ordinance;<br /> any non-government organization or institution governed by the public money or being aided from public fund;<br /> any foreign aided non-government organization or institution;<br /> non-government organization or institution;<br /> any person, non-government organization or institution who are responsible to execute government roles under an executed agreement with the government any government agency or institution on behalf of the government; or<br /> any other agency or institution determined, time to time, by the government by notification in the official gazette.<br /> <br /> Supremacy of law. – Notwithstanding anything contained in any other law for the time being in force, the provision of this Act and the rules made there under shall have effect.<br /> <br /> Public interest disclosure. – (1) any whistleblower can make public interest disclosure, if considered reasonable, to a competent authority.<br /> <br /> (2) Any whistleblower, for fulfilling the purpose of this Act, will be considered that he made public interest disclosure, if—<br /> <br /> he believes on reasonable ground that the information is true; or<br /> If there is no reasonable ground to believe the truth of the information, but he believes that the information may be true and is of sufficient significance to justify its disclosure so that its truth may be investigated..<br /> (3) Any information mentioned in the sub-section (1), can be sent for disclosure, to a competent authority, in written—directly hand-to-hand, by post or via any electronic means.<br /> <br /> (4) Each disclosed information shall be supported by such documents or materials that would substantiate it preliminarily.<br /> <br /> Whistleblower’s protection. – (1) If any whistleblower discloses any authentic information under sub-section (1) of section 4, his identity cannot not be divulged without his consent.<br /> <br /> (2) For making disclosure of public interest information, no criminal or civil, or, where applicable, departmental suit can be filed against the whistleblower.<br /> <br /> (3) If the whistleblower is a service holder, only for disclosing public interest information- demotion, harassment transfer or forced retirement or any other measures cannot be taken against him that would incur loss of his psychological, financial or social standing or no departmental actions can be taken against him or he cannot be treated discriminatorily.<br /> <br /> (4) Subject to sub-section (6), information disclosed under section 4 cannot be produced as a proof in any civil or criminal case or the whistleblower cannot be presented as a witness in any civil or criminal case and nothing can be publicize in the case proceedings by which the identity of the whistleblower would or may be revealed.<br /> <br /> (5) If there is anything in a book, record or a document included in the witnesses-evidences of a civil or criminal case which contains the identity of the whistleblower, then the court will not allow permission to any person to visit the segment of that book, record or document which contains that identity.<br />  (6) Notwithstanding anything contained in this section, during the hearing of a case, if it is clear to the court that, the whistleblower intentionally disclosed false and baseless information or fair trial cannot be ensured without revealing the identity of the whistleblower, then the court can reveal the identity of the whistleblower and for disclosing false and baseless information it can take actions against him under section 10.<br /> <br /> Inquiry and legal procedures. – (1) If any whistleblower discloses any information to a competent authority under information disclosure section 4, the competent authority shall take initiative to inquire into the matter or if the matter lies with another other competent authorities, it shall send the information to that authority.<br /> <br /> (2) If any public interest information is disclosed or sent to the competent authority, such authority can inquire into the matters by itself or any other appropriate authority.<br /> <br /> (3) While conducting inquiry under sub-section (2), the competent authority or, where applicable, an appropriate authority can collect, if necessary, relevant information and data from the whistleblower.<br /> <br /> (4) During or after the inquiry, if is found that,--<br /> <br /> the real occurrence or allegation is of trivial nature, repugnant and baseless; or<br /> there is no reasonable ground or element to conduct inquiry or carry out legal procedures—<br /> <br /> then the competent authority shall stop the proceedings undertaken at once and if the matter is inquired by any other appropriate authority under sub-section (2), such authority shall send its report to the competent authority and the competent authority shall take a decision according to it.<br /> <br /> (5) After conducting the inquiry within the stipulated time if it is found that the raised allegation against the concerned officer is true and authentic, then the competent authority shall take appropriate actions against him according to the existing law.<br /> <br /> (6) If any inquiry officer is failed to complete the inquiry of that matter within the time stipulated in this section and if there is a need for additional time but he did not apply with mentioning reasonable ground for granting the additional time, legal or departmental actions shall have to be taken against the concerned officer.<br /> <br /> Assisting in the inquiry. – (1) If a whistleblower discloses any public interest information, he shall assist the police or any other law enforcing agency in the inquiry to find the authenticity of that information:<br /> provided that, no whistleblower can be forced to assist in such an inquiry which may jeopardize his life or physical security or he can be affected in other ways.<br /> (2) To fulfill the purpose of this Act, the competent authority, appropriate authority, or where applicable, the inquiry officer can request for assistance to law enforcing agency in case of inquiry or any government authority or statutory agency, and such authority or agency shall provide the assistances accordingly.<br /> <br /> Informing the outcome. – If any public interest information is disclosed by a whistleblower to any competent authority appropriately, if the whistleblower requests, he shall be informed, by keeping his identity secret, what actions have been taken based on that information.<br /> <br /> Breach of the provision of section 5. – (1) If any person breaches the provision of section 5, he will be deemed to have been committed crime under this Act and for this crime he shall be sentenced to imprisonment for a minimum 2 (two) years or maximum 5 (five) years or pay fine or both.<br /> <br /> (2) If the guilty person mentioned in the sub-section (1) is a government officer, departmental actions shall have to be taken against him along with the punishment mentioned in the sub-section.<br /> <br /> Punishment for disclosing false information. – (1) Being aware of the falsity or without being completely confirm about the truthiness of the information, if a whistleblower purposely discloses any baseless information, which is not of public interest or there is a possibility to conduct inquiry or trial proceedings based on that information under this Act, he shall be deemed to have been disclosed false information.<br /> <br /> (2) If any whistleblower discloses false information mentioned in the sub-section (1), he shall be deemed to have been committed crime under this Act and he shall be sentenced to imprisonment for a minimum 2 (two) years or maximum 5 (five) years or pay a fine or both.<br /> <br /> (3) If the whistleblower is a government officer and he discloses any false information mentioned in sub-section (1), departmental actions shall have to be taken against him along with the punishment mentioned in sub-section (2).<br /> <br /> Application of the Code of Criminal Procedure. – Unless anything repugnant in this Act, provisions of Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) shall be applicable for lodging complain, conducting inquiry, trial and settlement.<br /> <br /> Cognizability, non-compoundability and bailablity of offence. – Offices under this Act shall be cognizable, non-compoundable, and bailable.<br /> <br /> Transmuting fine into compensation. – Notwithstanding anything contained in any other law for the time being in force, the competent court can consider a sentence to pay a fine imposed by the same under section 10, as a compensation for the person sustained a loss for the disclosure of the false or baseless information by the whistleblower and the money of that fine or compensation is realizable from the whistleblower.<br /> <br /> Conferring award or honor. – If any allegation or an offence brought out by a whistleblower under this Act is proved by the court, the competent authority can confer the whistleblower with appropriate award or honor.<br /> <br /> Power to make rules. – The government by notification in the official gazette can make rules for fulfilling the purpose of this Act.<br /> <br /> Publishing English Translated Version: - (1) After this Act comes into force, if required, the government by notification in the official gazette can publish an authentic English text translated into English. <br /> <br /> (2) If there is any contradiction between the Bengali and English reading of this Act, the Bengali reading will be given preference.<br /> <br /> <br /> Ashfaque Hamid<br /> Secretary

Publication of Public Interest Information (Protection) Act, 2011 (Act No. 7 of 2011) [22nd June, 2011]

                                                              Bangladesh Gazette                                                       ...

Read More