কক্সবাজারে অসামাজিক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য পুর্ত ভবন সংলগ্ন কটেজ : প্রাণঘাতি এইডস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা!



কক্সবাজার পুর্ত ভবন সংলগ্ন কটেজ অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অসাধু কটেজ মালিকরা প্রকাশ্য পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে এলেও জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

আর কক্সবাজারে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে কলাতলীর কিছু আবাসিক হোটেল ও কটেজ অপরাধীদের খুনের অভয়ারণ্য হয়ে উঠে। এসব কটেজ থেকে প্রায় কোন না কোন পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে বেশির খুনের ক্লো উদঘাটনে ব্যর্থ হন প্রশাসন।

প্রকাশ্য ও গোপন অনুসন্ধানে জানা যায়, কলাতলী রোড়ের সাংস্কৃতির কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত প্রায় সব রিসোর্টেই দিনের বেলায় প্রকাশ্যে নারী নিয়ে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর রাতের বেলায় এ রিসোর্ট যেন এক একটি মিনি পতিতালয়। রাতদিন দু’ সিফটে ভাগ করে এসব রিসোর্টে চলে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা। রেজিষ্টারবিহীন ঘন্টা ব্যাপী ও নাইট ভিত্তিক দেহ ব্যবসা ।

আর রোহিঙ্গা ইস্যূতে কক্সবাজারের কলাতলীতে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী এনজিওদের আগমনে এ ব্যবসা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন্ স্থানে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়তও চোখে পড়ার মতো। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের সামাজিক পরিবেশ।

জানা গেছে: কটেজের মালিক, ম্যানেজার ও বয় ছেলেদের মদদেই চলছে এ ব্যবসা।কক্সবাজারের পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা এসব হোটেলে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে খদ্দরসহ পতিতা ও দালালদের আটক করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজারদের আটক না করায় বন্ধ হচ্ছে না এ পতিতা ব্যবসা।


আরও জানা যায় যে: এসব রিসোর্টের কর্মরত ম্যানেজার ও হোটেল বয় স্থানীয়সহ ঢাকার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে মহিলা ও উঠতি বয়সের তরুণী, রাখাইন নারী সংগ্রহ করে প্রতিদিন তাদেরকে দিয়ে ঘণ্টা ও নাইট হিসেবে এই রিসোর্টে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা অবৈধ টাকার পাহাড় করেছে। ফলে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে তরুণ ও যুব সমাজ।

পর্যটন এলাকার নিয়ম রক্ষার্থে এসব কটেজ গুলোতে প্রায় চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান। তবুও অজ্ঞাত কারনে থামে না কটেজের এই পতিতা ব্যবসা।স্থানীয় দাবি,এসব অপর্কমের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে নষ্ট হয়ে যাবে কক্সবাজারের সামাজিক পরিবেশ। আর সামনে আসছে পবিত্র রমজান মাস এভাবে থাকলে রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কটেজ ও রিসোর্টের সামনের একাধিক দোকানদার জানান, পতিতাদের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী,বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় কর্মরত মহিলা,স্বামী প্রবাসী গৃহবধুসহ বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের উঠতি বয়সের তরুণীরা।

একশ্রেনীর দিনমজুর থেকে আরম্ভ করে মধ্য বয়সের কর্মবিমুখ মানুষের পদভারে মুখরিত থাকে এই কটেজ গুলো। শুধু তা নই অনেকক্ষেত্রে কলেজের নাম করে বান্ধবিকে নিয়ে উঠে কোন না কোন কটেজে। যার ফলে শহরজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবনতা।

কলাতলীর কটেজ জোনে যৌনকর্মীদের সাথে স্থানীয় যুবক,ছাত্র,ব্যবসায়ী এমনকি কক্সবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর পুরুষদের যৌন সম্পর্কের কারণে এইডস রোগের জীবাণু ছড়ালে তা রীতিমতো বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আশংকা অনেকের। সর্বোপরি কক্সবাজার এইডস জোনে পরিণত হলে ধ্বংস হয়ে যাবে এখানকার পর্যটনখাত।